আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কানাডায় নির্বাসিত শিখ নেতা হত্যার ঘটনায় টানাপড়েনের জেরে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ বাড়ছে। স্নাতক সম্পন্ন হওয়ার পরও তাদের কাজের অনুমতি (ওয়ার্ক পারমিট) দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি দেশে প্রত্যর্পণের মুখে পড়তে যাচ্ছেন তারা।
প্রিন্স এডওয়ার্ড দ্বীপে বসবাসকারী ভারতীয় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, স্থানীয় প্রশাসন তাদের ওয়ার্ক পারমিট দিতে না চাইলে তারা অনশন করবেন।
গত বছরের জুন মাসে কানাডায় নির্বাসিত শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যা করা হয়। এরপর সেপ্টেম্বরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দেশটির পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন, হরদীপ সিং খুনের সঙ্গে ভারতীয় এজেন্টরা যুক্ত, এ বিষয়ে তার সরকারের কাছে ‘বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ’ আছে। ভারত সরকার বিষয়টি সহজভাবে নেয়নি। এর জেরে নয়াদিল্লির নির্দেশে গত অক্টোবরে ভারত থেকে দূতাবাসের দুই-তৃতীয়াংশ কর্মীকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় কানাডা।
এসব ঘটনার প্রভাব পড়েছে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ওপরও। এমনিতেই গত এক বছরে কানাডায় ভারতীয় শিক্ষার্থী কমে গেছে ৮৬ শতাংশ। যারা এখনও কানাডায় আছেন, তাদের ওপর নানামুখী চাপ রয়েছে। কোনো কোনো প্রভিন্স বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট সংক্রান্ত নতুন নিয়ম করেছে। এতে ওয়ার্ক পারমিট কেবল স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া নির্মাণ ও স্বাস্থ্য খাতে কাজ করা শিক্ষার্থীদের জন্যই এ পারমিট চালু রাখা হচ্ছে।
বিক্ষুব্ধ ভারতীয় শিক্ষার্থীরা কানাডা প্রশাসনের নতুন এসব পদক্ষেপকে বৈষম্যমূলক বলে আখ্যায়িত করে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। তারা দাবি করছেন, নতুন এসব আইনে কেবল বিদেশি শিক্ষার্থীরা নয়, স্থানীয়রাও বিপাকে পড়বেন। কারণ সেক্ষেত্রে স্থানীয়দের কাছে কফি ডেলিভারি করার লোকও পাওয়া যাবে না। তারা অবিলম্বে ওয়ার্ক পারমিটের সীমা বাড়ানো এবং অভিবাসন নীতিতে সাম্প্রতিক পরিবর্তনের পর্যালোচনা দাবি করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।