জুমবাংলা ডেস্ক : আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে জাতভিত্তিক চালের দাম ও মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম। রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে সরু চাল, চিকন চাল, মোটা চাল এসব থেকে বের হয়ে এসে জাতভিত্তিক চালের দাম এবং মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ মিলার পর্যায়ে, পাইকারি পর্যায়ে এবং খুচরা পর্যায়ে—একটা রূপরেখা তৈরি হয়েছে। খাদ্য, কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বৈঠক করে এটা চূড়ান্ত করে আপনাদের জানিয়ে দেব। পহেলা বৈশাখ থেকে সেটা কার্যকর হবে।‘
বাজার সহনীয় দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সবার সহযোগিতায়, বাজারের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পেরেছি। আমরা মনে করি, আগামী ঈদ পর্যন্ত এটা অব্যাহত রাখতে পারবো। কিছু প্রতিকূলতা আমাদের আছে, যেটা সম্পর্কে আপনারা অবহিত আছেন। পরিবহন একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ, এটি নিয়ে কাজ করছি। আগামী বাজেটের আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে পারি, সেটা নিয়ে একটি পরিকল্পনা থাকলে সুবিধা হয়।’
বাজারে নিত্যপণ্যের সংকট নেই জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোরবানির ঈদ পর্যন্ত ভোজ্যতেলের সরবরাহ যথেষ্ট পরিমাণ সাপ্লাই চেইনে আছে। চিনি নিয়েও আমাদের কোনো সমস্য নেই। মিল মালিকরা এ নিয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। বাজার পর্যায়ে কৃষিপণ্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে চলে এসেছে। আজ প্রথম ট্রেনে এক হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসবে। যা খোলা বাজারে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হবে। আর চিনি বাজারে যথেষ্ট আছে। উৎপাদকরা মনে করছেন না যে এই মুহূর্তে চিনি আনতে হবে। যে কারণে চিনি আমদানিতে আমাদের আগ্রহ নেই।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।