বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : শহর কিংবা শহরের বাইরে যাতায়াতের জন্য অনেকের ভরসাই মোটরসাইকেল। তবে বর্তমানে দাম বেড়েছে দুই চাকার এই যানের। দেশে মোটরসাইকেল বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলোর তথ্যমতে, ডলারের দাম বৃদ্ধি ও এলসি জটিলতায় দেশে মোটরসাইকেল আমদানি ও উৎপাদন খরচ অন্তত ২৫ শতাংশ বেড়েছে। এতে বছর ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ। সেইসঙ্গে বিএনপির হরতাল-অবরোধে অস্থিরতা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বিক্রি কমেছে ৩০ থেকে ৩২ শতাংশ।
ডলারের দাম বৃদ্ধি ও এলসি জটিলতায় দেশে মোটরসাইকেল আমদানি ও উৎপাদন খরচ অন্তত ২৫ শতাংশ বেড়েছে।
শোরুমগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, যে মোটরসাইকেলের দাম এক বছর আগে ছিল ২ লাখ ১০ হাজার টাকা, সেটি এখন ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে সব ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের দামই বেড়েছে।
বছর দুয়েক আগে মোটরসাইকেল বিক্রিতে বেশ ভালো প্রবৃদ্ধি ছিল। কারণ তখন দাম ছিল কম। কিন্তু এখন মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ এমনিতেই অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে। এ অবস্থায় বাড়তি দামে মোটরসাইকেল কেনা অনেকের কাছেই বিলাসিতার মতো।
মোটরসাইকেলের দাম চড়া থাকার বিষয়ে এক ক্রেতা বলেন,
মোটরসাইকেলের দাম একটু বেশি। আমার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। যা মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য বেশ সমস্যা। তাই দাম আরেকটু কমা উচিত।
দেশে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে একশ’ ও দেড়শ’ সিসি মোটরসাইকেলের। আমদানিকারক-বিক্রেতারা বলছেন, খরচ বেড়ে যাওয়ায় তারা দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। চলমান সংকট দীর্ঘায়িত হলে আরও ক্ষতির মুখে পড়বে এই শিল্প।
এ প্রসঙ্গে এসিআই মোটরসের (ইয়ামাহা) মার্কেটিং ম্যানেজার হোসেন মোহাম্মদ অপশন বলেন, পুরো শিল্প খাতে যদি বিক্রি কমে যায়, তাহলে কোম্পানিগুলোও উৎপাদন কমিয়ে দেবে। ফলে ওই কোম্পানির মধ্যে কর্মরত কর্মীরা চাকরি হারাবেন। পাশাপাশি কমবে বেতন। যার একটি প্রভাব দিনশেষে অর্থনীতিতেই পড়বে।
সুজুকির চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম তৌহিদুর রহমান বলেন,
ক্রেতা এখন অনেক চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যেমন সে একটি বাইক কিনবে, তাতে কত টাকা খরচ হবে। পাশাপাশি তার ভাবতে হচ্ছে তার জীবন যাত্রার ব্যয় নিয়েও। তাছাড়া জ্বালানি তেলের দামও বাজারে চড়া। যার একটি প্রভাব অবশ্যই রয়েছে।
দেশের মোটরসাইকেলের বাজার ৮ কোটি টাকায় নেমেছে।
সংশ্লিষ্টদের দেয়া তথ্যমতে, ২০২২ সালে যেখানে দেশে মোটরসাইকেল বিক্রি হয়েছে ৫ লাখের উপরে, সেখানে চলতি বছর মোটরসাইকেল বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৩ লাখের মতো। আর এতেই এই শিল্পের ১৪ হাজার কোটি টাকার বাজার নেমেছে ৮ হাজার কোটি টাকায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।