জুমবাংলা ডেস্ক : প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরও সাত হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে প্রাথমিকে এ শিক্ষক নিয়োগ শেষ হবে। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
প্রাথমিক শিক্ষার উদ্যোগ ও অর্জন নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে জাকির হোসেন বলেন, আরও সাত হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এরই মধ্যে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
শিক্ষকদের বদলি প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আন্তঃজেলা, আন্তঃবিভাগ ও আন্তঃসিটি করপোরেশনের মধ্যে বদলির কাজ চলতি মাসে শুরু হচ্ছে। এ জন্য সফটওয়্যারের কিছু কাজ করতে হবে। শিগগিরই আমরা তা শুরু করে দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে উপজেলার মধ্যে বদলি শুরু করেছি। প্রথম পর্যায়ে মাত্র ৭ দিনের মধ্যে ২৫ হাজার শিক্ষকের বদলি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের কার্যক্রমের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে। সেই সঙ্গে পাইলটিং করে প্রায় ৪ লাখ শিক্ষককে দ্রুততম সময়ে বদলির জন্য গত বছরের ২২ ডিসেম্বর সংশোধিত অনলাইন বদলি নীতিমালা জারি করা হয়েছে।’
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৩৭ হাজার ৫৭৪ প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ।
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্যপদে সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। পরে আরও ৫ হাজার পদ বাড়িয়ে ৩৭ হাজার ৫৭৪ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হয়।
নিয়োগের পর প্রার্থীদের ডাকযোগে নিয়োগপত্র জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসগুলোতে পাঠানো হয়। জেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রার্থীদের অঙ্গীকারনামা ও যোগদানপত্রের ফরমেট দিয়ে দেয়া হয়। এগুলো পূরণ করে ২২ জানুয়ারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে এসে নতুন শিক্ষকরা যোগদান করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।