জুমবাংলা ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ থেকে ভবিষ্যতে দেশের প্রধানমন্ত্রী হবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম। মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ইসদাইরে সামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মাঠে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জ অন্যতম যুদ্ধক্ষেত্র ছিল। আমরা এই ছাত্র-জনতার হাতে ভবিষ্যত বাংলাদেশকে দেখতে চাই। আমরা দেখতে চাই আমাদের সামনে যারা দাঁড়িয়ে আছে তাদের থেকে আগামীতে (নারায়ণগঞ্জ থেকে) এমপি, মন্ত্রী হবে। এমনকি এই নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রধানমন্ত্রী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্ররা যাতে কারও লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত না হয়। অনেকে আমাদের ভাইদেরকে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যাবহার করতে চায়। নিজের মেধা আর যোগ্যতা দিয়ে স্বাবলম্বী হবেন। কোনো ভাইয়ের যোগ্যতায় নয়। ছাত্র-জনতা কখনো চাঁদাবাজিকে সমর্থন করে না। নারায়ণগঞ্জে সড়কে, ফুটপাতে চাঁদাবাজি হয় এবং এখনে হচ্ছে। এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার।’
সারজিস আলম বলেন, ‘অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে স্বৈরাচারী হাসিনা। তাদের বিচার এদেশের মাটিতেই হবে। বাংলাদেশের যে নতুন প্রজন্ম আছে তারা একটু সুন্দর বাংলাদেশ চায়। ভবিষ্যতে যদি আবারও কোনো ফ্যাসিস্টের আবির্ভাব হয় তখনো ছাত্র-জনতা রুখে দাঁড়াবে। তখনো বাবা-মাকে বলে আবার রাস্তায় নামবে ছাত্র-জনতা।’
ছাত্রদের উদ্দেশ্য সারজিস বলেন, ‘সব কিছুর মধ্য থেকেও সবার আগে নিজেদের পড়াশোনাটা ঠিক মতো চালিয়ে যেতে হবে। যোগ্য হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।’
নারায়ণগঞ্জ মাদকের ব্যাপকতা নিয়েও কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক। মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘যারা এই মরণ নেশা মাদক বিক্রি করে, তাদের পক্ষে কোনোদিন ছাত্র-জনতা দাঁড়াবে না। বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম জেলা এই নারায়ণগঞ্জ। এই জেলাকে প্রাচ্যের ড্যান্ডি বলা হয়। বাংলাদেশের জেলা যখন কেউ চিনতো না তখন থেকে মানুষ এই নারায়ণগঞ্জকে চিনে।’
তিনি বলেন, ‘এই নারায়ণগঞ্জের বিষয়ে আমরা খবর নিয়ে জেনেছি, কিছু মুষ্টিমেয় মানুষ এখানকার জনগণকে জিম্মি করে রেখেছিল। এখনো ঠিক তেমটিই হচ্ছে। এখানে মার্কেট, ফুটপাত, বাজার, পরিবহণ সেক্টরে যে চাঁদাবাজি চলে তা ছাত্র-জনতা সমর্থন করে না। এই ধরনের কর্মকাণ্ড ছাত্র-জনতার আন্দোলনের স্পিরিটের সঙ্গে যায় না।’
এদিকে সভা শুরুর আগে আজ দুপুরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে ডাক বাংলোতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হওয়া ১৪ জনের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সারজিস আলমসহ সমন্বয়করা। এ সময় তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহেরাব সিফাত, সমন্বয়ক শাহীন মিয়া, সমন্বয়ক সামিয়া মাসুদ মম, সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, আসিফ আদনান এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক ফারহানা মানিক মুনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।