জুমবাংলা ডেস্ক : মাসব্যাপী ‘অমর একুশে বইমেলা-২০২৪’ শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বিকাল ৩টায় এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়ে বইমেলার ৫২ বছরের ইতিহাসে ২১তম বারের মতো বইমেলা উদ্বোধন করবেন তিনি। বাংলা একাডেমি আয়োজিত এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।
১ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। তবে রাত সাড়ে ৮টার পর কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সকাল ৮টায় মেলা শুরু হয়ে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। মেট্রোরেল স্টেশনের কারণে গতবারের মূল প্রবেশপথ এবার একটু সরিয়ে বাংলা একাডেমির মূল প্রবেশ পথের উল্টো দিকে অর্থাৎ মন্দির গেটটি মূল প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ প্রকাশনা সংস্থার স্টল-প্যাভিলিয়ন নির্মাণ কাজ শেষ। এখন চলছে সাজসজ্জার কাজ। এ বিষয়ে বাংলা প্রকাশনীর প্রকাশক আহসান আল আজাদ বলেন, আমাদের স্টল নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। শুধু কিছু সাজসজ্জার কাজ বাকি। আশা করি মেলা শুরুর দিন তা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
ধ্রুব প্রকাশনার প্রকাশক আবুল বশার ফিরোজ বলেন, আমাদের স্টল নির্মাণকাজ শেষ। এবার মেলায় আমাদের প্রত্যাশা অনেক। কিন্তু দিন দিন পাঠক যেভাবে কমছে, তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। বইমেলাকে যদি বাঁচাতে হয়, তাহলে রাষ্ট্রকে আরও উদ্যোগী হতে হবে, যাতে ২০ থেকে ২৫ বছর পর পাঠক সংকটে মেলা বন্ধ হয়ে না যায়।
সরেজমিন দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তা বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, মেলা ঘিরে জঙ্গি হামলা কিংবা অন্য সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। তার পরও সব দিক মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বইমেলা অসাম্প্রদায়িক আয়োজন। এই আয়োজনকে বিভিন্ন সময় হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। মেলায় একটি পুলিশ কন্ট্রোলরুম বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে মেলা ও এর আশপাশে পর্যবেক্ষণ করা হবে। গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি মেলায় প্রবেশপথে কয়েক ধাপে নিরাপত্তা তল্লাশি করা হবে।
বিভিন্ন সময় বেশ কিছু বইয়ের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে পুলিশ। এবার এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কী—জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এটি বাংলা একাডেমির বিষয়। তবে এমন কোনো লেখা বা বিষয় পাঠকের নজরে আসে বা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় এবং তা নিয়ে যদি কোনো সমালোচনা হয় তখন পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। আমাদের সে ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
এদিকে মেলায় অগ্নিনিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। মেলার দুই অংশেই আগুন নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি, পাম্প ও সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত থাকবেন ফায়ার সার্ভিসের ৭৭ কর্মী।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মইন উদ্দিন জানান, ফায়ার সার্ভিসের দুটি অস্থায়ী ফায়ার স্টেশনের মাধ্যমে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি ৯ ফায়ারফাইটার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছয়টি পয়েন্ট ও বাংলা একাডেমির তিনটি পয়েন্টে মেলা চলাকালে দুটি করে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র (ফায়ার এক্সটিংগুইশার) নিয়ে টহল দেবেন। বাংলা একাডেমির পুকুর ও উদ্যানের লেকে দুটি পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে তাৎক্ষণিক অসুস্থদের সেবা প্রদান ও প্রয়োজনে হাসপাতালে নিতে ২৪ ঘণ্টা একটি অ্যাম্বুলেন্স সেখানে থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।