আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেলকে ব্রিটিশ রাজ প্রাসাদের বাড়ি ছাড়তে বলা হয়েছে। ‘ফ্রগমোর কটেজ’ নামের বাড়িটি প্রয়াত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ বিয়ের সময় হ্যারি ও মেগানকে উপহার দেন। হ্যারি ও মেগান ডিউক অব সাসেক্স ও ডাচেস অব সাসেক্স হিসেবেও পরিচিত। ২০২০ সালে রাজকীয় জীবন ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় পাড়ি জমান হ্যারি-মেগান দম্পতি। এর পর থেকে তারা রাজপরিবারের কাছ থেকে কোনো অর্থ নেন না। ব্যবসার মাধ্যমে আয় করেন তারা। Ñখবর ইয়াহু নিউজের।
প্রিন্স হ্যারি ও মেগানের পরিচয় হয়েছিল ২০১৬ সালে। ২০১৮ সালে তারা বিয়ে করেন। পরে ২০২০ সালে রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য হিসেবে পদত্যাগ করেন। প্রিন্স হ্যারি ও মেগান দম্পতিকে নিয়ে গণমাধ্যমে নানা খবর প্রকাশিত হতে থাকে। এ কারণে গণমাধ্যমের ওপর তারা খুব বিরক্ত ছিলেন। বাকিংহাম প্যালেস তাদের ‘সাসেক্সরয়েল’ ব্র্যান্ড বন্ধ করে দিয়েছিল। এ কারণে তারা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।
রাজ দায়িত্ব ত্যাগ করে যুক্তরাজ্য ছাড়ার পর হ্যারি ও মেগান রাজপরিবার থেকে কোনো অর্থ নেননি। তারা মূলত সাসেক্সরয়েল, ইনস্টাগ্রাম, টিভি অনুষ্ঠান, পডকাস্ট ও বই থেকে অর্থ আয় করেন।
হ্যারি ও মেগানের মিডিয়া কোম্পানি দ্য সাসেক্স ও আর্চওয়েল প্রোডাকশন নেটফ্লিক্সের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান তৈরি করে। এ থেকে তারা মিলিয়ন ডলার আয় করেন বলে মনে করা হয়। এর মধ্যে হ্যারি ও মেগান ডকুমেন্টারি সিরিজ রয়েছে, যেখানে এ দম্পতি রাজপরিবারের জীবন সম্পর্কে কথা বলেছেন। আর্চওয়েল স্পটিফাইয়ের জন্য পডকাস্টও তৈরি করে। এ থেকেও আয় হয় তাদের।
রাজ দায়িত্ব ত্যাগ করে রাজপরিবার থেকে পাওয়া বার্ষিক আয় হারিয়েছেন এই দম্পতি। রয়্যাল কর্মকর্তা হিসেবে হ্যারি ও মেগান তাদের বার্ষিক আয়ের ৯৫ শতাংশ পেতেন হ্যারির বাবা তৎকালীন প্রিন্স অব ওয়েলসের কাছ থেকে। বিয়ের প্রথম বছর (২০১৮-১৯) সরকারি দায়িত্ব ও কিছু ব্যক্তিগত খরচের জন্য তাদের ৫০ লাখ পাউন্ডের বেশি অর্থ দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।