ছাত্রদের নিয়ে এক্সকারশনে গিয়ে হিন্দি গানের সঙ্গে ‘চটুল’ নাচে শামিল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। নিমেষে ভাইরাল সেই ভিডিও। তীব্র চাঞ্চল্য ভারতের হাওড়ায়। সাঁতরাগাছি কেদারনাথ ইনস্টিটিউশনের এই ভিডিও ঘিরে শিক্ষামহলে নিন্দার ঝড় উঠল। স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র থেকে অভিভাবক অনেকেই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন। সমালোচনায় সরব শিক্ষক মহলের একটি বড় অংশ। শুক্রবার এই ভিডিও সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল হাওড়া জেলা শিক্ষা মহলে। প্রধান শিক্ষককে শোকজ করেছে জেলা শিক্ষা দপ্তর।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বাসের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকারা হিন্দি গানের তালে ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে চটুল নাচে শামিল। এমনকী সেই চটুল নাচে অংশ নিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বয়ং। এই প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তপোব্রত বসু অবশ্য শুক্রবার জানান, এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। এই প্রসঙ্গে হাওড়া জেলা স্কুল পরিদর্শক অজয় কুমার পাল বলেন, ‘‘এই ঘটনার জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। মৌখিকভাবে বিষয়টি তাঁর কাছ থেকে জানার পর লিখিত আকারে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া এ নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩ আগস্ট বকখালিতে একাদশ শ্রেণির ৬৫ জন ছাত্রকে নিয়ে একটি শিক্ষামূলক ভ্রমণ হয়। সেই ভ্রমণে স্কুলের প্রধান শিক্ষক-সহ তিন শিক্ষিকা ও ১০ জন শিক্ষক গিয়েছিলেন। একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান ও ভূগোলের ছাত্রদের নিয়েই ছিল এই এক্সকারশন। আর ওইদিনই বাসে করে বকখালি যাওয়ার সময়ই শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে বাসের মধ্যে হিন্দি গানে চটুল নাচ নেচেছেন।
ঘটনার কথা শুনেই এদিন স্কুলে ছুটে যান অর্ধেন্দু লাহিড়ী নামে প্রাক্তন ছাত্র। তাঁর আক্ষেপ, এ ধরনের ঘটনা ওই স্কুলে কোনওদিন ঘটেনি। হাওড়ার অন্যতম নামী স্কুল হিসেবে পরিচিত কেদারনাথ ইনস্টিটিউশন। এখন ছাত্র সংখ্যা প্রায় ১৬০০। ২০২৫ সালে সাঁতরাগাছির কেদারনাথ ইনস্টিটিউশন শতবর্ষে পা দেবে। সেই ঐতিহ্যপূর্ণ স্কুলে এ ধরনের সংস্কৃতি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করা উচিত বলে দাবি অর্ধেন্দুবাবুর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।