দেশবাসীর প্রিয় নেত্রীকে শেষবারের মতো একনজর দেখা আর জানাজায় অংশ নেওয়ার ব্যাকুলতা নিয়ে ঢাকার পথে সর্বস্তরের মানুষ। বাস, ট্রেন কিংবা লঞ্চ, যে যেভাবে পারছেন মঙ্গলবার রাত থেকেই রাজধানীর পথ ধরেছেন।

আজ বুধবার সকাল হতে না হতেই সেই জনস্রোত মিশতে শুরু করেছে মানিক মিয়া এভিনিউতে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে ঢাকামুখী এই যাত্রা শুরু হয়। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে এই স্রোত আরও জোরালো হয়। রাতে ভোলা, বরিশাল ও চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের নেতাকর্মীরা নদীপথে সদরঘাটে এসে পৌঁছান। একই সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ট্রেন ও বাসগুলোতেও ছিল তুলনামূলক ভিড়।
সবার গন্তব্য একটাই, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা।
তীব্র শীত উপেক্ষা করে মঙ্গলবার গভীর রাত থেকেই মানিক মিয়া এভিনিউ ও এর আশপাশের এলাকায় জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। সকাল থেকেই লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে সংসদ ভবন চত্বর ও এর আশপাশের সড়ক। অনেকে ফুটপাতেই রাত কাটিয়েছেন প্রিয় নেত্রীর জানাজায় সামনের কাতারে থাকার আশায়।
কথা হয় বাষট্টি বছর বয়সী কৃষক সাত্তার মিয়ার সাথে। লাঠিতে ভর দিয়ে তিনি সুদূর বগুড়া থেকে মঙ্গলবার রাতেই ঢাকায় পৌঁছান। থাকবার জায়গা না থাকায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন সংসদ ভবনের সামনের রাস্তায়। ভেজা চোখে তিনি বলছিলেন, ‘ম্যাডাম হামাগের মা। ওনারে শেষবারের মতো দেখমু না, তা কি হয়? শরীর চলে না, তাও মনের জোরে আসছি। ওনার জানাজায় শরিক হতে পারলেই শান্তি।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, সমবেত মানুষের চোখেমুখে গভীর শোকের ছায়া। দলীয় কার্যালয় ছাড়াও সড়কগুলোতে উড়ছে কালো পতাকা। ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকে আজ ভোর থেকেই মিছিল নিয়ে আসছেন নেতাকর্মীরা। তাছাড়া দল-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ শেষবারের মত শ্রদ্ধা জানাতে মানিক মিয়ার পথ ধরেছেন।
আজ দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবন মাঠ ও মানিক মিয়া এভিনিউতে খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব এই জানাজায় ইমামতি করবেন। এরপর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেরেবাংলা নগরে স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
লোক প্রশাসন অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে পক্ষপাতের অভিযোগ, গঠনতন্ত্র জানেন না কমিশনার
মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন (ইন্নানিল্লাহে……..রাজিউন) দেশের তিনবারের এই প্রধানমন্ত্রী। জীবনের শেষ মুহূর্তে পাশে ছিলেন তাঁর বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


