জুমবাংলা ডেস্ক : বিদেশের বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে প্রবাসী আয় কেনার ক্ষেত্রে দেশের কোনো ব্যাংকে ডলারের দাম ১২০ টাকার বেশি দেবে না। গত বৃহস্পতিবার দেশের সরকারি–বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি বা কোষাগারপ্রধানদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জানা যায়, দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ডলারের দামের অস্থিরতা কমিয়ে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বৃহস্পতিবার সভা করেন বিভিন্ন ব্যাংকের ট্রেজারিপ্রধানরা। সভায় সরকারি–বেসরকারি ব্যাংকের ৪২ জন কোষাগারপ্রধান অংশ নেন। সভায় অংশ নেওয়া সব ব্যাংকের কোষাগারপ্রধানেরা প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম ১২০ টাকার বেশি না দেওয়ার বিষয়ে একমত হন।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো গ্রাহকের কাছে যে ডলার বিক্রি করে, তার দামও নির্ধারিত হয়েছে ১২০ টাকা। ২৮ আগস্ট আন্তব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রতি ডলার ১২০ টাকায় হাতবদল হয়েছে। এখন ব্যাংকের কোষাগারপ্রধানদের নেওয়া সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে প্রবাসী আয় ও আন্তব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের দাম হবে একই।
এ বিষয়ে বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের কোষাগারপ্রধান ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহীন ইকবাল বলেন, ‘ডলারের দামে অস্থিরতা কমিয়ে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে নৈতিক অবস্থান থেকে আমরা সব ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানেরা সভা করেছি। সভায় প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ১২০ টাকার বেশি ডলারের দাম না দেওয়ার বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন।’
এর আগে গত ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে আহসান এইচ মনসুর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলার–সংকট কাটাতে আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যান্ড ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাতে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণের ক্রলিং পেগ ব্যবস্থায় ডলারের মধ্যবর্তী দাম ১১৭ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা পর্যন্ত বাড়াতে পারবে ব্যাংকগুলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।