নির্বাচনি প্রচারণায় জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের ছবি ব্যবহারের বিষয়ে প্রচারিত সংবাদ ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

বুধবার এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব এবং আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, দুপুরে নির্বাচন কমিশনে আমরা যা বলেছি, তা বিদ্যমান আইনের আলোকে।
তিনি বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০২৫’ এর বিধি ৭(চ)-তে বর্ণিত নিয়মগুলো যাতে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়, সে বিষয়ে আমরা গুরুত্বারোপ করেছি। এই নিয়ম তো সব দলের জন্যই প্রযোজ্য। বিএনপির বিষয়টা একটি উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ব্যক্তি আক্রমণের উদ্দেশে নয়। কিন্তু গণমাধ্যমগুলোর শিরোনামগুলো যেভাবে লেখা হয়েছে, তার ফলে ভুল বার্তা যেতে পারে।
অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, নির্বাচনি আচরণ বিধিমার বিধি ৭(চ) অনুযায়ী, দফা ঙ’তে যা থাকুক না কেন, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত হলে, সে ক্ষেত্রে তিনি শুধু নিজের বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি ব্যানার, লিফলেট বা হ্যান্ড বিল ও ফেস্টুনে ছাপাতে পারবেন এবং উল্লিখিত ছবি পোট্রেট আকারে হতে হবে এবং তা কোনো অনুষ্ঠান ও জনসভায় নেতৃত্ব দান বা প্রার্থনারত অবস্থায় বা ভঙ্গিমায় ছাপানো যাবে না।
উল্লিখিত ধারার কথা উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট মুসা আরো বলেন, আইনের এই ধারা অনুযায়ী দলীয় প্রধান হিসেবে শুধু খালেদা জিয়ার ছবি ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এই নিয়মটা মানা হচ্ছে না। ভবিষ্যতেও এটি অব্যাহত থাকলে বিধিমালা প্রয়োগের বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের নজরে নিয়ে আসি।
উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে এনসিপিসহ মোট ৭টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের ছবি ব্যবহারে এনসিপির আপত্তি উল্লেখ করে প্রকাশিত হয়। যা ভুল বার্তা বহন করছে বলে মনে করে দলটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



