প্রোডাকশন বয়ের শরীরে চা ঢেলে দেয়ার অভিযোগে যা বললেন শামীম

বিনোদন ডেস্ক : চায়ে চিনি কম হওয়ায় প্রোডাকশন বয়ের গায়ে গরম চা ঢেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে অভিনেতা শামীম হাসান সরকারের বিরুদ্ধে। দোলন চাঁপা শুটিং হাউসে নির্মাতা আদিবাসী মিজানের শুটিং সেটে এ ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ টেলিভিশন মিডিয়া প্রোডাকশন ম্যানেজার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার গণমাধ্যমে এ অভিযোগ জানান। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন এই অভিনেতা।

শামীম বলেন, ‘আমি সেটে ঢোকার পর আমাকে চা দেয়া হয়। চা মুখে দিয়ে বুঝতে পারি তিতা ও ঠান্ডা। আমি বলি, এটা কোনো চা হলো? পরে বলি এই চা তুমি খাও। কিন্তু রাব্বি খায় না। আবারও বলি, এটা তুমি খাও। এ কথাগুলো হাসতে হাসতে বলেছিলাম। তিনবার চা খেতে বলার পরও রাব্বি চা খায় না এবং কিছু বলেও না। পরে আমি এগিয়ে গিয়ে বলি, তুমি চা-টা খাও। এগিয়ে গিয়ে চা দেয়ার সময় হাতের ধাক্কা লেগে চা গিয়ে পড়ে রাব্বির শরীরে। চা এতটা গরম ছিল না যে স্কিন পুড়ে যাবে।’

অভিনেতা আরও বলেন, ‘চাকরি জীবনে দুই ভাইয়ের মধ্যে মনোমালিন্য হতেই পারে। রাব্বি তো আমার সহকর্মী। রাব্বি সেটেই ছিল। পরে তাকে বেশ কয়েকবার আমি সরি বলি। সে আঘাত পেয়েছে কি না, সে বিষয়েও খোঁজ নিয়েছি। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত রাব্বি আমাদের সেটেই ছিল। এরপর দুপুরে রাব্বি খাবার খাইয়েছে। অন্য শিল্পীরাও ছিলেন।’

‘এরপর হঠাৎ করেই রাব্বিদের সংগঠন থেকে আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইলো। আমি রাজি হয়েছি। কারণ, ভুল তো আমি করেছি। আমি ক্ষমা চাইতে রাজি। যাইহোক, সংগঠন থেকে সেটে আসে। একজন রাব্বির কিছু ছবি তুলে নিয়ে আসে। তাতে দেখি, রাব্বি দুখি দুখি চেহারা করে বেডে শুয়ে আছে। কিন্তু চা পড়ে রাব্বির শরীর যদি পুড়ে গিয়ে থাকে, তবে তো সেটা দুপুর ১২টার দিকে হওয়ার কথা। বিকেল ৪টার দিকে অনেকটা সুস্থ হওয়ার কথা। আর ওই ঘটনার পর আমি নিজে চেক করে দেখেছি কোথাও পুড়েছে কি না। না, ওই সময়ে রাব্বির শরীরে আমি কোনো ক্ষত পাইনি,’ যোগ করেন অভিনেতা।

এ ঘটনার পর অভিনেতা শামীম হাসান সরকার প্রোডাকশন বয় রাব্বির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। শামীম বলেন, ‘পরে রাব্বিদের সংগঠনের একজন বলেন, ‘আপনি তো রাব্বির চিকিৎসার কোনো খরচ দিলেন না। আমি বললাম, আমি সব করতে রাজি। এ ঘটনার জন্য আমি সরি। আর এসব কথা আমি সবার সামনে বলেছি।’

ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় সবচেয়ে বাড়িয়ে দিবে এই ৬টি খাবার

তিনি বলেন, ‘এ সময় আমি বলি বিকেল ৫টার দিকে আমি হাসপাতালে লোক পাঠাব, তখন বলে ছেলেটা ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে গেছে। কিন্তু প্রথমে আমাকে বলা হয়েছে, রাব্বির শ্বাসনালি পুড়ে গেছে, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। এসব কথা শুনে আমার খুব খারাপ লেগেছে। কিন্তু মেলাতে পারছিলাম না। কারণ, এমনটা তো হওয়ার কথা নয়।’

সবশেষে অভিনেতা বলেন, সামাজিক মাধ্যমে যে ছবি ছড়িয়েছে সেটি মিথ্যা।