লাইফস্টাইল ডেস্ক : ঘরবাড়ি তো গুছিয়ে রাখতেই হয়। তবে ঘর গুছানো মানে আপনার কেনা সদাই জমাট করে রাখা নয়। অনেকে অবশ্য এই ভুলটিই করে। সবকিছু রাখার চেষ্টা করেন আর মেয়াদ ফুরালেও অনেক কিছু সরান না। এটি আপনার জন্য অসুবিধার কারণ তো বটেই। বিশেষত রান্নাঘরের ক্ষেত্রে। রান্নাঘরের পরিবেশ ভালো রাখার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু জিনিস ফেলে দিতে হবে।
বেশি আচড় পড়া কাটিং বোর্ড
কাটিং বোর্ড ব্যবহার করতে করতে দাগ পড়াটাই স্বাভাবিক। গভীর আঁচড়ের দাগ গভীর হয় আর সংখ্যাও যদি বেশি হয় তাহলে কাটিং বোর্ডটা সরিয়ে নিতেই হবে। এসব পুরনো কাটিং বোর্ডে জীবাণু সহজেই ঠাঁই গড়ে নিতে পারে। নিজের ও পরিবারের সুস্থতার তাগিদেই কাটিং বোর্ড নিয়মিত পরিবর্তন করুন।
ফ্রিজে রাখা পুরনো খাবার
পুরনো খাবারের উদাহরণ বৈচিত্র্যময়। অনেক সময় লেবু কেটে খেলে বাকি অংশ ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়। দুই তিনদিন পর ফ্রিজের কোনায় তা শুকিয়ে পড়ে থাকলেও সরানো হয় না। ফ্রিজে খাবার ভালো থাকে। তবে অনাদিকাল খাবার সেখানে ভাল থাকবে না। আর ফ্রিজে এভাবে খাবার রাখাও স্বাস্থ্যকর নয়। ফ্রিজে পুরোনো খাবার এভাবে ফেলে রাখলে বরফ জমার সময় বাজে গন্ধ ছড়াতে পারে। তাই আপনার ফ্রিজ দুর্গন্ধযুক্ত রাখার জন্যই দ্রুত এসব সরিয়ে রাখুন।
প্রলেপ ওঠা ননস্টিক প্যান
একবার ননস্টিক প্যান কেনা হয়েছে আর বহুদিন ব্যবহারে প্রলেপ উঠে গেছে। অনেকে ভাবেন প্রলেপ উঠলেও অন্য কাজে ঠিকই প্যানটি ব্যবহার করা যায়। এমনটি করবেন না। প্রলেপ উঠে আসা নন-স্টিক থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান নিঃসৃত হয়। আর এসব খাবারের সঙ্গে মিশে খাদ্যগুণকে প্রভাবিত করে। খেয়াল রাখবেন আচড় যাতে না পড়ে। সেজন্য কাঠের স্প্যাচুলা ব্যবহার করাই শ্রেয়।
মেয়াদোত্তীর্ণ আচার ও সস
বাড়িতে বা রান্নাঘরে অনেক সময় আচার, জ্যাম, সস সংরক্ষণ করার সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় না। অনুসরণ করা হয় না বলেই এগুলো অনেক সময় ফ্রিজের ভেতর রাখা হয় আর সরানো হয় না। এটা সম্ভবত আমাদের মানসিক আলসেমি। ফ্রিজের বাড়তি জায়গা দখল করে রাখে কিন্তু আমরা সরাই না। কিন্তু ফ্রিজে প্রতি তিন মাস অন্তর বয়াম পর্যবেক্ষণ করুন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ কিছু থাকলে সরিয়ে ফেলুন।
পুরনো প্লাস্টিকের তৈজস
পুরোনো প্লাস্টিকের তৈজস ভুলেও রাখবেন না। কনটেইনারগুলো সচরাচর ক্ষতিকর পলিকার্বনেট দিয়ে তৈরি এবং তা খাদ্যগুণ নষ্ট করে। খাবার কিংবা মশলা সংরক্ষণে কাঁচের বয়াম ব্যবহার করাই ভাল।
পুরনো মশলা
মশলা দীর্ঘদিন রেখে ব্যবহার করা উচিত না। নিত্যদিনের রান্নায় হলুদ, মরিচ, জিরা এসব ব্যবহার হলেও কিছু মশলা থাকে যা বিশেষ সময়েই ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘদিন থাকায় মশলা তার গুণাগুণ হারায়। তাই মশলা কেনার সময় আনুমানিক পরিকল্পনা করে কিনুন। সংরক্ষণের কথা ভেবে নয়। রান্নাঘরে এভাবে অনেকটুকু জায়গা বাঁচানো যায়। সবচেয়ে বড় কথা, প্রয়োজনীয় মশলা রাখা ও গুছিয়ে ফেলা সহজ হয়। অন্তত আমাদের জার দিয়ে রান্নাঘর বদ্ধ করতে হচ্ছে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।