জুমবাংলা ডেস্ক : রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানসহ বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তায় প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট-পিজিআর’র প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট পিজিআর’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা আরও বাড়িয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতে এগিয়ে যেতে হবে।
গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রযুক্তির ওপর ভর করে অপরাধ প্রবণতাও বদলে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাই পিজিআরকে আধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত হয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতের তাগিদ দেন সরকারপ্রধান।
ফোর্সেস গোল ২০৩০ অনুসরণ করে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করব না, আমরা শান্তি চাই। এক্ষেত্রে আমরা জাতির পিতার প্রতিরক্ষা নীতি মেনে চলি। তবে একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে, বিশেষ করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক সংগঠনগুলো গড়ে তুলতে হবে। আমরা সে জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি প্রথম ১৯৯৮ সালে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ’ এবং ‘মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৯ সালে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং’ এবং ‘আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করেন। আওয়ামী লীগ সরকারই প্রথম ২০০০ সালে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে নারী অফিসার নিয়োগ দেয়া শুরু করে।
২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর বাংলাদেশকে আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা প্রণীত ১৯৭৪ সালের প্রতিরক্ষা নীতিমালার আলোকে আমরা ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন শুরু করে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীকে আরো আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ‘বাংলাদেশ পিস বিল্ডিং সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেছি। ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি, ২০১৮’ প্রণয়ন, এ্যারোস্পেস ও এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং সিএমএইচগুলোকে অত্যাধুনিক হাসপাতালে রূপান্তর করাসহ পিজিআর সদস্যদের জন্য ঝুঁকিভাতা প্রবর্তন এবং আবাসনের বন্দোবস্তোসহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক পদক্ষেপের উল্লেখ করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।