জুমবাংলা ডেস্ক : ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। ক্ষমতা হারানোর পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চলে যান আত্মগোপনে। কেউ কেউ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে যান। কিন্তু ক্ষমতার পালাবদলের আড়াই মাস পর প্রকাশ্যে আসার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ।
প্রথমবারের মতো গত ১৫ অক্টোবর বিকালে ঢাকার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণে শেখ হাসিনার পক্ষে স্লোগান দেন কিছুসংখ্যক আইনজীবী। শুক্রবার মধ্যরাতে চট্টগ্রামে হঠাৎ বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২০-৩০ জন নেতাকর্মী। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আওয়ামী লীগের কয়েকজন সমর্থক মানববন্ধনের চেষ্টা করেন।
দোয়া মাহফিল ও গরিব-দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণের মাধ্যমে শুক্রবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬১তম জন্মদিন পালন করেন ছাত্রলীগের সাবেক সাত নেতাকর্মী।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর দীর্ঘ আড়াই মাস দলটির নেতাকর্মীদের মাঠে দেখা যায়নি। দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও এমপি-মন্ত্রীদের প্রায় সবাই চলে যান আত্মগোপনে। অনেকে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে। গ্রেফতার আতঙ্কে দিন কাটছে অনেক নেতাকর্মীর।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপির ওপর যা যা হয়েছিল, এখন আওয়ামী লীগের ওপর তা-ই ঘটছে।
শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার জামালখান এলাকায় মধ্যরাতে হঠাৎ বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েক জন নেতাকর্মী। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ২০ থেকে ৩০ জন লোক সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। মিছিলটিতে অংশ নেওয়া বেশির ভাগই ছিলেন তরুণ। কয়েকটি মোটরসাইকেলযোগে তারা জামালখান মোড় এলাকায় জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু এবং ‘শেখ হাসিনার ভয় নেই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
এদের কারো কারো হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মিছিলের তিনটি ভিডিও শুক্রবার রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড পেজ থেকে শেয়ার করা হয়।
এদিকে হঠাৎ আওয়ামী লীগের মিছিলের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা জানান, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে এ কর্মসূচি পালনের দুঃসাহস দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ। কারণ অস্ত্র হাতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন এরকম সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এর প্রতিবাদে শনিবার বিকাল ৩টায় জামালখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ১০-১৫ জন আওয়ামী লীগ-সমর্থক নেতাকর্মী প্রেস ক্লাবের সামনে এসেছিলেন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে। তা শোনার পরই বিএনপির ৫০-৬০ নেতাকর্মী এসে তাদের ধাওয়া দেয়। এর একটি ভিডিও তাৎক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ফারুক খানকে রিমান্ড শেষে আদালতের হাজতখানায় নেওয়ার সময় সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণে স্লোগান দেন আওয়ামী লীগপন্থী কিছুসংখ্যক আইনজীবী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।