রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে মাথা থ্যাঁতলে হত্যার ঘটনায় দুই আসামি তারেক রহমান রবিন এবং টিটন গাজী দুজনেই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন।
আদালতে জবানবন্দি দেওয়া অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার রবিন বলেছেন ‘তিনি ফেঁসে গেছেন’; আর টিটনের ভাষ্য, ব্যবসায়ী মো. সোহাগ ওরফে লাল চাঁদকে তিনি কোনো ‘আঘাত’ করেননি বা অন্য কাউকে মারধরের নির্দেশও দেননি।
দুই দিনের রিমান্ড শেষে রবিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার এসআই মনির হোসেন জীবন। রবিন এই ঘটনায় পুলিশের করা অস্ত্র মামলার আসামি।
ঢাকার মহানগর হাকিম হাসিব উল্লাহ গিয়াস রবিনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বুধবার বিকালে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে প্রকাশ্যে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে শরীর ও মাথা থ্যাঁতলে হত্যা করা হয় ভাঙারি ও পুরনো তারের ব্যবসায়ী মো. সোহাগ ওরফে লাল চাঁদকে। এরপর এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
এ ঘটনায় তার বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আর পুলিশ দায়ের করেছে অস্ত্র মামলা।
এই ঘটনায় পুলিশ ও র্যাব চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে, তাদের মধ্যে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পাঠিয়েছিল আদালত। তারা হলেন, মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিন। রিমান্ড শেষে রবিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের পাঁচজনকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে বিএনপি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।