লাইফস্টাইল ডেস্ক : কাঁচা মরিচ শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না এর অনেক গুণও রয়েছে। এ দেশের শ্রমজীবী মানুষরা কাঁচা মরিচ ছাড়া ভাত খাওয়ার কথা ভাবতেই পারেন না। এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর যারা সালাদে কিংবা তরকারিতে এর ব্যবহার করেন না। সব ধরণের লোকজন কাঁচা মরিচ ব্যবহারে অভ্যস্ত হলেও অনেকই জানেন না এর উপকারী দিকগুলো। এর ঝাল বেশি হলেও রয়েছে বেশকিছু উপকারী দিক।
হার্ভার্ড, অক্সফোর্ড ও পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা মোটেও ঝাল খান না, তাদের তুলনায় যারা প্রতিদিন বা সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ঝাল খান, তাদের হৃদরোগ, ফুসফুস ও ক্যানসারজনিত রোগে মৃত্যুহার কম।
কাঁচা মরিচের গুণাগুণ
<> কাঁচা মরিচে ভিটামিন এ থাকায় এটি সব বয়সী ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে ও চোখব্যথা দূর করে।
<> কাঁচা মরিচের অণুজীব প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরে জীবাণু সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ফলে তা ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখে।
<> শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা মজবুত করতেও সাহায্য করে কাঁচা মরিচ।
<> কাঁচা মরিচ খেলে খাবার ভালো হজম হয়।
<> নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে ঠান্ডা, কাশি এমনকি ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
<> কাঁচা মরিচ টিস্যু পুনর্গঠনে কাজ করে থাকে। নতুন রক্তকোষ তৈরি করে, হাড়কে সুস্থ ও শক্তিশালী করে রাখে।
<> নিয়মিত কাঁচা মরিচ খাওয়া ব্যক্তিদের ত্বক থাকে বলিরেখামুক্ত। এটি বয়স ধরে রাখতে বেশ জাদুকরি একটি উপাদান।
<> কাঁচা মরিচ বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। বিপাকক্রিয়ার উন্নতি করে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
<> এটি মস্তিষ্কে এনডোরফিন হরমোন বাড়ায়। এই হরমোন উদ্দীপক। ফলে মন ভালো রাখতে কাঁচা মরিচ দারুণ ভালো।
<> পাকস্থলীর ক্যানসার রোধ করে এটি বেশ কার্যকরী। এতে রয়েছে ক্যাপসাইসিন। তাই এটি পাকস্থলীর ক্যানসার ও পাকস্থলীর যেকোনো রোগ নিরাময় করে।
<> কাঁচা মরিচ খেলে লালা উৎপন্ন হয়, যা খাবার ভালোভাবে চিবানোতে ও হজমে সাহায্য করে।
<> কাঁচা মরিচে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এটি রক্তে চর্বি জমাতে বাধা দেয়।
<> হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালির স্নায়ুগুলো ক্যাপসেইসিনে সংবেদনশীল। এই স্নায়ুগুলোর সুস্থতায় ভূমিকা রাখে এই উপাদান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।