জুমবাংলা ডেস্ক : চলতি সপ্তাহে প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদলের আভাস পাওয়া গেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে সরিয়ে দেওয়া হবে। বিশেষ করে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী এবং অতি উৎসাহী হয়ে বিগত সরকারের পক্ষে বিশেষ ভূমিকা রাখা সচিবদের সরানো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত সরকারের সময় যারা সিনিয়র সচিব এবং সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন তাদের পর্যায়ক্রমে সরিয়ে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত অধিকাংশ সিনিয়র সচিব, সচিবের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।
শুধু মন্ত্রিপরিষদ সচিব চুক্তিভিতিক কর্মে নিয়োজিত আছেন। আগামী ১৩ অক্টোবর তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার শেষ কর্ম দিবস হবে ১০ অক্টোবর। কারণ পরবর্তী তিন দিন সরকারি ছুটি। এ ছাড়া পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শিগগিরই সরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
অতিরিক্ত এবং যুগ্ম সচিব পর্যায়েও বেশ বড় ধরনের রদবদল নিয়ে কাজ চলছে। পাশাপাশি মাঠ প্রশাসনে নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ চলতি সপ্তাহে শুরু হওয়ার কথা। একই সঙ্গে বিভিন্ন জেলার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকও (এডিসি) প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট বিগত আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাজ স্থবির হয়ে পড়ে। বিগত সরকারের সময়ে দৃশ্যমান কোনো কারণ ছাড়াই পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাধার কারণে উল্লেখযোগ্য কোনো কাজই করতে পারেনি মন্ত্রণালয়টি। কারণ মন্ত্রণালয়টির সিনিয়র সচিবকে তারা সবসময় সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখেছেন।
গত ২৯ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নতুন সিনিয়র সচিব হিসাবে যোগদান করেছেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন (বিসিএস) প্রশাসন ক্যাডারে ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা ড. মো. মোখলেস উর রহমান। নতুন সচিবের যোগদানের ফলে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ধরনের আস্থা ফিরে এসেছে। মন্ত্রণালয়টির কার্যক্রমে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে এসেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান রবিবার বলেন, সরকারের প্রশাসন সংস্কারের অংশ হিসাবে শিগগিরই সচিব পর্যায়ের বেশ কিছু কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশেষ করে যাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে।
এছাড়া যেসব সচিবের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্যায় অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, তাদের পদ হারাতে হবে। অতিউৎসাহী হয়ে বিগত সরকারের সময় যেসব সচিব বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
যেখানে বিনিয়োগে টাকাও নিরাপদ থাকে, মুনাফাও পাওয়া যাচ্ছে ব্যাংকের চেয়ে বেশি
তিনি আরও জানান, মাঠ প্রশাসনে ডিসি এবং কিছু এডিসিকে সরিয়ে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত রয়েছে। তা বাস্তবায়নে কাজ করছি। ইতোমধ্যে সরিয়ে দেওয়া ডিসিদের জায়গায় নতুন কর্মকর্তা পদায়ন চলতি সপ্তাহের মধ্যেই হবে। ফিটলিস্ট তৈরির কাজ চলছে। এছাড়া কিছু এডিসিকেও পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করা হবে।
সূত্র : যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।