বিনোদন ডেস্ক : তাঁকে বলা হয়, স্বয়ং টলিউড ইন্ডাস্ট্রি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বিগত কয়েক যুগ ধরে টলিউডে রাজ করছেন। তিনি পর্দায় আসা মানেই প্রেক্ষাগৃহে ঝড় ওঠা। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘দশম অবতার’, ছবিটি বহুদিন পর বাঙালিকে পুজোর সময়ে প্রেক্ষাগৃহে টেনেছিল
প্রায় ৫ কোটির মতো আয় করেছিল ছবিটি। তবে আজ তাঁর কোনও ছবি নিয়ে আমরা আলোচনা করব না, আলোচনা করব তাঁর রক্ষককে নিয়ে অর্থাৎ বডিগার্ডকে নিয়ে। তারকা মানেই তাঁদের সঙ্গে দু চারটা বডিগার্ড ঘুরবে, বিষয়টি একেবারেই নর্ম্যাল। যাতে ভক্তদের সৌজন্য বিনিময়ে সময় তাঁর কোনও ক্ষতি না হয়। এ যাত্রায় বলিউডের থেকে কোনও অংশে কম নয় টলিউডও।
যার অভিনয়ে মুগ্ধ গোটা বাংলা ইন্ডাস্ট্রি। সেই প্রসেনজিৎই থাকেন এই ব্যক্তির নজরবন্দিতে। । তাঁর চোখ পেরিয়ে এক কদমও রাখেন না টলি সুপারস্টার। বুম্বাদার ছায়া সঙ্গী তিনিই। তাঁর সান্নিধ্যেই তিনি কাটিয়ে দিলেন জীবনের বেশ কয়েকটা বছর। প্রসেনজিৎ-এর নিরাপত্তার সঙ্গীর নাম রাম সিং। যিনি দেশ থেকে বিদেশ প্রসেনজিতের সঙ্গে ছায়ার মতো লেগে থাকেন। নায়কের সুবাদে টলিউডেও দারুণ জনপ্রিয় রাম সিং। প্রসেনজিৎকে স্যারজি বলে ডাকেন তিনি।
ভপ্রসেনজিতের ছায়াসঙ্গী রাম সিং বিগত ১৫ বছর ধরে কাজ করছেন বুম্বাদার সঙ্গে। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতা এবং ১১৫ কেজির রাম সিং-কে দেখে এমনিতেই শত্রুরা দূরে থাকেন। শুরুর দিকে দুই বছর দেবের সঙ্গে কাজ করলেও দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তিনি রয়েছেন বুম্বাদার সঙ্গে। আজ বুম্বাদার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক একেবারে পরিবারের মতো।
কিন্তু কীভাবে এই পেশায় এলেন তিনি? কী তাঁর পরিচয়? প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আসার আগে থেকেই তিনি বাউন্সারের কাজ করতেন। উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাসিন্দা রাম সিং, ১২ বছর বয়সে, কলকাতায় আসেন। পড়াশুনা করতে করতেই কাজ শুরু করে দেন৷ স্বাস্থ্য ভাল থাকার ফলে তিনি শেষমেশ বাউন্সারের কাজই বেছে নেন। টুকটাক ইভেন্টে কাজ করতে করতে প্রথমে দেব, তারপরই রাম সিং প্রসেনজিৎ-এর সঙ্গে কাজ করা শুরু করেন তিনি।
প্রসেনজিৎ কোথায় কখন যাবেন সব খবরই রাখতে হয় রাম সিং-এর কাছে। প্রসেনজিৎ-এর পার্সোনাল গাড়িতেই সবসময় থাকেন রাম সিং। কখন নায়ক বাড়ি থেকে বের হবেন, কখন বাড়িতে ফিরবেন সবটাই খবরই রাখতে হবে রাম সিং। স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের সদস্য হয়ে গিয়েছেন তিনি প্রসেনজিতের।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত রামের এক পুত্র সন্তান রয়েছেন কিন্তু তেমনভাবে পরিবারকে সময় দিতে পারেন না রাম। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রসেনজিতের বডিগার্ড হিসেবে রাম প্রতিবছর ৮০ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক পান। অর্থাৎ তাঁর মাসিক মায়না প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।