বিনোদন ডেস্ক: ‘একের পর এক মৃত্যু দেখে যেতে হচ্ছে আমাকে। প্রতিক্রিয়া দিতে হয়। কিন্তু অভিষেকের খবরটা সকালে শোনার পর এই প্রথম সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছি, এর প্রতিক্রিয়া আমি দিতে পারবো না আমাকে ক্ষমা করবেন’- অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে প্রসেনজিৎ ভারতীয় গণমাধ্যমে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকালে এই কথা বলেন।
বুধবার (২৩ মার্চ) দিনগত রাত ১টা ১০ মিনিটে কলকাতার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কলকাতার নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়।
অভিষেকের সঙ্গে কাটানো মজার মুহূর্ত জানতে চাইলে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘ওর বিয়েতে বরকর্তা হয়ে গিয়েছিলাম। সেদিনটার কথা আজ মনে পড়ছে। ওর সঙ্গে যা কিছু ভালো স্মৃতি সেটাই রেখে দিতে চাই। এর বেশি ওর জন্য আমি আর কোনো শব্দ ব্যবহার করতে পারছি না। ’
নব্বইয়ের দশকে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা ছিলেন অভিষেক। এক সময় প্রসেনজিৎ, তাপস পালদের সঙ্গে একসারিতে নাম উঠতো তার।
উৎপল দত্ত, সৌমিত্র চ্যাটার্জি, সন্ধ্যা রায়ের মতো প্রতিভাশালী অভিনেতাদের সঙ্গে পর্দায় দেখা গেছে অভিষেককে। কাজ করেছেন শতাব্দী রায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, ইন্দ্রাণী হালদারের মতো প্রথম সারির অভিনেত্রীদের নায়ক হয়ে।
১৯৬৪ সালের ৩০ এপ্রিল জন্ম অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের। ১৯৮৬ সালে তরুণ মজুমদারের ছবি ‘পথভোলা’ দিয়ে সিনেমায় যাত্রা শুরু। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো- ‘দহন’, ‘বাড়িওয়ালি’, ‘মধুর মিলন’, ‘মায়ের আঁচল’, ‘আলো’, ‘নীলাচলে কিরীটি’।
শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায়ও তিনি সমানভাবে সাবলীল অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।