বিনোদন ডেস্ক : প্রায়শই ‘দিদি নম্বর ১’ -এ থাকে নানা রকম চমক। সাধারণ মানুষ তো বটেই, বিভিন্ন পর্বে তারকারা এসে নজর কাড়েন সকলের। গত মঙ্গলবারের পর্বেও ছিল এরকমই এক চমক। হাজির ছিলেন টলিউড অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
জি বাংলার নন-ফিকশন শো ‘দিদি নম্বর ১’, বাংলার প্রত্যেক ঘরে ঘরে সকলের প্রিয়। জনপ্রিয় এই শো-র সিজন ৯ চলছে এখন। অন্যান্য সিজনের মতোই এবারও হিট শোয়ের সঞ্চালিকা রচনা বন্দোপাধ্যায়। প্রায়শই ‘দিদি নম্বর ১’ -এ থাকে নানা রকম চমক। সাধারণ মানুষ তো বটেই, বিভিন্ন পর্বে তারকারা এসে নজর কাড়েন সকলের। গত মঙ্গলবারের পর্বেও ছিল এরকমই এক চমক। হাজির ছিলেন টলিউড অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
কিছুদিন আগেই একসঙ্গে ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন প্রসেনজিৎ- রচনা। জানিয়েছিলেন,’দিদি নম্বর ১’-র মঞ্চে প্রসেনজিৎ হাজির থাকবেন এক বিশেষ পর্বে। আসলে আগামী ১৭ জুন, মুক্তি পাবে শৌভিক কুণ্ডু পরিচালিত ‘আয় খুকু আয়’। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও দিতিপ্রায় রায়। মূলত মফস্বলের এক বাবা- মেয়ের ভালোবাসার বন্ধনের চিরন্তন গল্প বলবে এই ছবি। আর এই ছবির প্রোমোশনের জন্যেই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শো-এ হাজির হয়েছিলেন অভিনেতা।
বাবা- মেয়ের এই বিশেষ পর্বটিতে নাচ -গান -আড্ডার পাশাপাশি তৈরি হয়েছিল নানা আবেগঘন মুহূর্ত। নিজের বাবার কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়লেন রচনা। গত ১৫ নভেম্বর প্রয়াত রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। রচনার কাছে তাঁর বাবা ছিলেন বটবৃক্ষের মতো। পিতৃহারা হয়ে, অনেকটা ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। কিছুদিনের বিরতি নিয়ে, ফের নিজেকে সামলে কাজে ফিরেছিলেন তিনি।
মঙ্গলবারের বিশেষ পর্বে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, রচনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আমি রচনাকে অনেক ছোটবেলা থেকে দেখেছি। মেসোমশাই -মাসিমা তখন ছিলেন। আমি মেসোমশাইকে খুব কাছে থেকে দেখেছি, চিনেছি… তাই যদি মেসোমশাইকে নিয়ে কোনও কথা বলা যায়… অনেক স্ট্রাগল করেছে ওঁরা। এমনকি আমি যখন প্যানডেমিকের আগে রচনার বাড়ি গেলাম, তখনও ছিলেন ওঁনারা। ” প্রিয় বুম্বা দার মুখে এই কথা শুনেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রচনা। কান্না ধরে রাখতে পারেননি সকলের প্রিয় ‘দিদি’।
নিজেকে কিছুটা সামলে রচনা বলেন, “আমার বাবাই আমার সব ছিল। কেরিয়ার শুরু বুম্বাদার সঙ্গে কাজ করে। তবে মাঝে অনেকটা সময় ছিল, যেখানে আমি হায়দ্রাবাদে গিয়ে কাজ করি। সেই সময়টা মূলত আমার বাবা আমার সঙ্গে ছিলেন। বাবা বললেন মেয়েকে তো একা ছাড়া যাবে না… যেহেতু তখন উনি চাকরি করতেন, তাই চাকরি ছেড়ে দিলেন।” প্রতিযোগীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “প্রতিটা মুহূর্ত বাবার সঙ্গে কাটানো তোমাদের কাছে আশীর্বাদ স্বরূপ। পৃথিবীর নিয়মে একটা সময় যখন সবাইকে একা হতে হবে… এই অভিজ্ঞতাটা হয়েছে বলে বলছি, এখন আমার মনে হয় আমি যদি আরও কয়েকটা দিন বাবার সঙ্গে বেশি সময় কাটাতাম তাহলে হয়তো ভাল হত।”
রচনা আরও বলেন, “আমার এত কাজের চাপ ছিল যে, বেশীরভাগ সময় কলকাতার বাইরে থাকতাম। কাজটার জন্য বাবা – মাকে বেশি সময় দিতে পারিনি। হয়তো ওঁদের আরও সময় বেশি দিলে আরও ভাল হত…।” দীর্ঘদিনের কাছের বন্ধু- সহকর্মী রচনাকে সান্ত্বনা নিয়ে জড়িয়ে ধরেন প্রসেনজিৎ। শুধু তাই না, নায়িকার চোখও মুছিয়ে দেন তিনি। সব মিলিয়ে ‘দিদি নম্বর ১’-র মঞ্চে তৈরি হয়ে এক আবেগমাখা মুহূর্ত।
প্রসঙ্গত, এক সময় টলিপাড়ায় চুটিয়ে রাজত্ব করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জুটি। প্রায় পয়ত্রিশটার বেশি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করে, একের পর বড় পর্দায় হিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তাঁরা। অনেকেই বর্তমানে মিস করেন তাঁদের জুটি। ফের একসঙ্গে এই জনপ্রিয় টলি জুটিকে ছোট পর্দায় দেখে, দারুণ খুশি অনুগামীরাও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।