বিনোদন ডেস্ক : টলিউডের হিট কাপল বললে উত্তম-সুচিত্রা জুটির পরই নাম আসে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর। দুজনের মিলে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে উপহার দিয়েছেন ৫৮টি সেরা ছবি। ৯০ এর দশকে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা মানেই ছবি সুপারহিট। সেসময় মানুষ হলে সিনেমা দেখার টিকিট পেতেন না।
সমসাময়িক অনেক জুটি থাকলেও প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত দর্শকদের মাথায় গেঁথে রয়েছেন। দুজনের অনস্ক্রিন কেমস্ট্রিতে মেতে ছিল পুরো টলিউড। তবে একটা সময় পর ভেঙে যায় তাদের এই জুটি। একসময় খুব চললেও পরে একে অপরকে এড়িয়ে চলতেন তারা।
দুজনের সম্পর্ক কেনো ভেঙেছিল সেই নিয়েও অনেক জল্পনা কল্পনা রয়েছে, তবে অনেকই মনে করেন যে দুজনের জীবনেই অনেক পরিবর্তন আসে সেইসময়। পর্দায় তাদের রসায়ন দেখে মানুষ কল্পনা করে নেন যে, বাস্তবেও সেই রসায়ন ততটাই জমাটি। আর তাতেই বিপত্তি বাধে।
টলিউডের সমসাময়িক আরেক অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রর অভিযোগ, প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির জন্যই নাকি টলিউডের বিখ্যাত নায়িকা হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। একই অভিযোগ ছিল প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চ্যাটার্জীরও। যদিও সফলতার শিখরে থাকার সময়ই তাদের জুটি ভেঙে যায়।
এই সময়ে তাদের দুজনের সম্পর্ক নিয়েও বিস্তর কাটাছেঁড়া চলতে থাকে। আর ঠিক তখনি প্রসেনজিতের দ্বীতিয় বিয়ে ভাঙার মুখে। সেই চাপের সাথে তাকে এবং ঋতুপর্ণাকে নিয়ে মানুষের বিস্তর কৌতূহলের মাঝে তারা সিদ্ধান্ত নেন একসাথে কাজ না করার। তারপরও থামেনি এই গুঞ্জন।
কেউ কেউ দাবি করেন যে, ঋতুপর্ণার বিয়ের দিন প্রসেনজিৎকে একেবারে মর্মাহত লাগছিল। এই নিয়ে ভালোই খবর প্রচার হয়। বাস্তবে কিন্তু মোটেই সেরকম ছিলনা। আসলে তাদের বিরুদ্ধে গুজব রটিয়ে এই হিট জুটি ভাঙার চেষ্টা করেন অনেকে। আর সেই কাজে তারা মোটামুটি সফল হয়ে যান।
এদিকে প্রসেজিৎ অথবা ঋতুপর্ণা একে অপরকে ভালো বন্ধু বলতেই বেশি ভালোবাসতেন। মাঝখানে বহুবছর একত্রে দেখা যায়নি তাদের। এরপর শিবপ্রসাদ-নন্দিতার ‘প্রাক্তন’ ছবিতে আবার ফিরে আসেন তারা। তাছাড়া সদ্য মুক্তি পাওয়া প্রসেনজিতের নিজস্ব প্রযোজনার ছবি ‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা’তেও ক্যামিও চরিত্রে দেখা গিয়েছে দুজনকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।