জুমবাংলা ডেস্ক : এই মৌসুমে চাহিদা অনুযায়ী আলু বিক্রি করতে পারেননি মাজেদুর। তাই হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। কিন্তু সে সুযোগটাও পাননি। রাগে-ক্ষোভে বাজারের রাস্তায় আলু ছিটিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন পীরগঞ্জের এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

সোমবার বিকেলে পীরগঞ্জ পৌরশহরের কলেজ হাটের রাস্তায় আলু ছিটিয়ে প্রতিবাদ জানান তিনি। এসময় হাটে আসা সাধারণ মানুষ রাস্তায় পড়ে থাকা আলু কুড়িয়ে নিয়ে যান। এদিকে আলু সংরক্ষণ করতে না পারায় বিপাকে পরেছেন মাজেদুরের মতোই অনেক সাধারণ কৃষক ও অন্যান্য ব্যবসায়ীরা।
আলু ব্যবসায়ী মাজেদুর জানান, চলতি মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে আট টাকা কেজি দরে ৮০০ বস্তা আলু কিনেছেন তিনি। সংরক্ষণের জন্য এক মাস ধরে বিভিন্ন হিমাগার কর্তৃপক্ষের কাছে ধরণা দিয়েও সংরক্ষণ করতে পারেননি। এমনকি বাজারে আলুর বিক্রিও কম হচ্ছে। এরই মধ্যে আলুতে পচন শুরু হয়েছে। এমন অবস্থা অবস্থায় রাস্তায় আলু ছিটিয়ে প্রতিবাদ জানান তিনি।
এদিকে কৃষক আমিনুল হক জানান, এবার ৩ একর জমি বর্গা নিয়ে আলু চাষ করেছেন তিনি। কিন্তু বাজারে দাম খুবই কম। অন্যদিকে জেলার হিমাগারগুলোতে জায়গা সঙ্কটের কারণে তা সংরক্ষণও করা যাচ্ছে না। তাই আলু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ করা হয়েছে। সেখান থেকে হেক্টর প্রতি প্রায় ২০ টন করে আলু আহরণ হয়েছে। তাতে এবারের মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৮৩ হাজার টন আলু উৎপাদন হয়।
বাজারে আলুর দাম কিছুটা কম এবং সংরক্ষণের জন্য হিমাগারগুলোতে জায়গার অভাব রয়েছে স্বীকার করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজেন্দ্র নাথ রায় বলেন, এ জেলায় আলুসহ বিভিন্ন সবজি ও মৌসুমী ফল সংরক্ষণের জন্য কৃষিভিত্তিক সংরক্ষণাগার তৈরি করা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



