বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : টোকিও-ভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা আইস্পেস প্রথমবারের মতো চাঁদে মিশন পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সফল হলে এটিই হবে জাপানের কোন মহাকাশযানের চাঁদে প্রথম অবতরণ।
গতকাল রবিবার জাপানি স্টার্টআপের ডিজাইন করা একটি মহাকাশযান স্পেসএক্স রকেটে উড্ডয়ন করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের কেপ ক্যানাভেরাল থেকে মহাকাশযান যাত্রা শুরু করে।
‘হাকুতো-আর’ মিশন, জাপানি ভাষায় যার অর্থ ‘সাদা রঙের খরগোশ’ ২০২৩ সালের এপ্রিলে স্পেস কোম্পানি থেকে চাঁদে অবতরণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সাদা খরগোশ চাঁদে বসবাস করে এবং এশীয় দিনপঞ্জি মতে, আগামী বছর খরগোশের বছর।
স্টার্টআপের সিইও তাকেশি হাকামাদা এক বিবৃতিতে জানান, ‘প্রথম মিশনে চাঁদের সম্ভাবনা যাচাই করে সেটাকে একটি শক্তিশালী এবং প্রাণবন্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করার ভিত্তি স্থাপন করবে।’
কোম্পানিটি গুগল-এর লুনার এক্সপ্রাইজ প্রতিযোগিতায় পাঁচজন ফাইনালিস্টের মধ্যে একটি ছিল, যাদের ২০১৮ সালের মধ্যে চাঁদে অভিযান পাঠানোর কথা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত গতকাল তারা অভিযান শুরু করতে সক্ষম হয়।
স্থানীয় সময় রাত ২টা বেজে ৩৮ মিনিটে হাকুতো-আর অভিযান শুরু হয়। এই অভিযানে স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠানের ফ্যালকন নাইন মডেলের রকেট ব্যবহার করা হচ্ছে।
মহাকাশযানে রয়েছে জাপানি স্পেস এজেন্সির একটি ছোট রোবট, কানাডা ভিত্তিক এক কোম্পানির ফ্লাইট কম্পিউটার এবং নাসার ছোট একটি লেজার পরীক্ষার যন্ত্র।
সূত্র : ডয়চে ভেলে ও আল-জাজিরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।