জুমবাংলা ডেস্ক: বৈধভাবে পাঠানো প্রবাসী আয়ের প্রণোদনা আড়াই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)।
সংস্থাটি ডলার সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে সুনির্দিষ্ট আরো কিছু প্রস্তাব দিয়েছে।
গত ১৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে পাঠানো একটি চিঠিতে প্রস্তাব দেয়া এসব বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সংগঠনটির বৈঠকে বসার কথা।
বাফেদার প্রস্তাবগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বৈধভাবে পাঠানো প্রবাসী আয়ের প্রণোদনা আড়াই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা। এছাড়া মুদ্রাবাজারে চাহিদা বিবেচনায় ডলারের সরবরাহ করা এবং গতিবিধি পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষিতে ডলার ক্রয়-বিক্রয়ে আন্তঃব্যাংকের বিনিময় হার পুনরায় নির্ধারণ করা।
একই সঙ্গে অনুমোদিত সব ডিলার (এডি) ব্যাংকের বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো থেকে ‘একক বিনিময় হারে’ লেনদেন করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বাফেদা বলছে, আন্তঃব্যাংকের মধ্যে লেনদেন থেকে সে বিনিময় হার কমপক্ষে শূন্য দশমিক এক শতাংশ কম হবে। সেটি বাংলাদেশ ব্যাংককে কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে।
সংগঠনটির প্রস্তাবে আরো বলা হয়েছে, রফতানির ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী এডি ব্যাংকগুলো কর্তনমূল্যের সুযোগ নিশ্চিত করবে। সেই সঙ্গে রফতানির নথি যাচাই করবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, আমদানির এলসি বিল ও সরকারি বাধ্যতামূলক পাওনা পরিশোধে একমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার বাড়তি চাহিদার তারল্য সরবরাহ করবে। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত এডি ব্যাংকগুলো নিজস্ব উৎস থেকে কেবল সরকারের বাণিজ্য ও বাধ্যতামূলক পাওনা সর্বোচ্চ তিন মাসের জন্য পরিশোধ করবে। তবে এ ব্যাংকগুলো সরকারের আন্তঃব্যাংক বাজার পদ্ধতিতে বৈদেশিক মুদ্রার উৎস হিসেবে ব্যবহার হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।