জুমবাংলা ডেস্ক : নওগাঁর সাপাহারে সরফতুল্লাহ মাদরাসা কেন্দ্রে ৫৯ জন দাখিল পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বদলি (প্রক্সি) পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কেন্দ্রসচিবের সহযোগিতায় ৫৯ জনকে পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ হোসেন হোসেন।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার সরফতুল্লাহ মাদরাসা কেন্দ্রে আরবি সাহিত্য পরীক্ষা চলাকালে বেলা সাড়ে ১১টায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসব ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটকের নির্দেশ দেন এবং বহিষ্কার করেন।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হোসেন। পরে কেন্দ্রসচিবের সহযোগিতায় ৫৯ জনকে আটক করেন তিনি। তার মধ্যে ৪৪ জন মেয়ে শিক্ষার্থী। ওই কেন্দ্রে ১০টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৭৫৭ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন। আজ ছিল তৃতীয় বিষয়ের পরীক্ষা। অন্যের হয়ে ২ বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়ার পর তৃতীয় বিষয়ের পরীক্ষার দিন ভুয়া পরীক্ষার্থীরা ধরা পড়েছেন।
জানতে চাইলে সাপাহারের ইউএনও মাসুদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আজ সকাল ১০টায় দাখিল পরীক্ষার আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শুরুর পর গোপন সূত্রে আমাদের কাছে খবর আসে, সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভুয়া পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও কেন্দ্রসচিবকে সঙ্গে নিয়ে ওই কেন্দ্রে গিয়ে যাচাই-বাছাই করে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী পাওয়া গেছে।
ইউএনও মাসুদ হোসেন আরও বলেন, বহিষ্কার হওয়া পরীক্ষার্থীরা দাখিল পরীক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধিত প্রকৃত পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল। এদের কেউ দশম শ্রেণি, আবার কেউ দাখিল পাশ করে একাদশ কিংবা দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে দেওয়া স্বাক্ষর ও ছবি যাচাই করে ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত করা হয়েছে। এ অনিয়মের সঙ্গে কেন্দ্রসচিব, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ দিকে গণমাধ্যমের কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা। তিনি জানান, নিয়মিত অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে আসায় ভুয়া পরীক্ষার্থীদের আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।
সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব জানান, ৫৯ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এদের প্রত্যেকের প্রবেশপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ছবিসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই শেষে প্রকৃত ভুয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানা যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।