স্পোর্টস ডেস্ক : চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় অপ্রত্যাশিত হার দেখেছে বায়ার্ন মিউনিখ। প্রথম লেগে লাৎসিওর কাছে ১-০ গোলে হেরে পিছিয়ে পড়েছে তারা। পুরো ম্যাচ জুড়েই জার্মান জায়ান্টদের এমন অবস্থা ছিল, যা নিকট অতীতে দেখা যায়নি। এক পর্যায়ে তো ১০ জনের দল নিয়ে তাদের খেলতে হয়েছে।
৬৯ মিনিটে লাৎসিওর গোলটি আসে পেনাল্টির কল্যাণে। ৬৭ মিনিটে বায়ার্নের ডিফেন্ডার দায়োত উপামেকানো গুস্তাভ ইসাকেনের ওপর বাজে চ্যালেঞ্জ করলে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ফরাসি তারকা। তাতে স্পট কিক থেকে জাল কাঁপাতে কোনো ভুল হয়নি সিরো ইম্মোবিলের।
পুরো ম্যাচেই নখতদন্তহীন ছিল বায়ার্ন। তারা এতই কোণঠাসা ছিল যে, ২০১৯ সালের পর এই প্রথম কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে লক্ষ্যে রাখতে পারেনি কোনো শট। অথচ এই ম্যাচের স্পষ্ট ফেভারিট ছিল বায়ার্ন। বুন্দেসলিগায় লেভারকুসেনের কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ভাবা হচ্ছিল এই ম্যাচে তারা ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু টানা দ্বিতীয় হারে চাপটা আরও বেড়ে গেছে। দুই ম্যাচেই তারা গোল করতে পারেনি।
বায়ার্নের ব্যর্থতার দিনে অবশ্য কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি)। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে তারা রিয়াল সোসিয়েদাদকে ২-০ গোলে হারিয়েছে। যদিও স্কোর লাইন দেখে বোঝার উপায় নেই যে, জয়টা ছিল কষ্টার্জিত।
পার্ক দ্যু প্রিন্সেসে অপরাজিত থেকে মাঠে নেমেছিল সোসিয়েদাদ। ডি গ্রুপের শীর্ষ দল ছিল তারা। ৫৮ মিনিটে এমবাপ্পের প্রথম গোলের আগ পর্যন্ত তারাই ছিল সেরা দল। তার পর তো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় স্বাগতিক দল।
মার্কুইনহোসের কর্ণার থেকে প্রথম গোলের পর অনন্য কীর্তিও গড়েছেন এমবাপ্পে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে টানা দশ গোল করা প্রথম খেলোয়াড় তিনি। তার পর ৭০ মিনিটে স্কোর হয় ২-০। ব্যবধান বাড়িয়ে নেন বার্কোলা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।