বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : ফেসবুকে কাউকে মেসেজ বা কমেন্ট দিয়ে হয়রানি করার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে পাবলিক ফিগারদের যেকোনো পোস্ট বা ছবির নিচে মানুষকে প্রায়ই আজেবাজে কথা বলতে দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানে ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ায় নেতিবাচক কমেন্ট করে হয়রানির করার মাত্রা আরও বেড়ে গেছে। অনেক সময় পাবলিক ফিগাররা নেতিবাচক কমেন্ট আসতে পারে ভেবে কমেন্ট সেকশন বন্ধ করে রাখেন।
মনোবিদরা বলেন, যারা অন্যের পোস্টে নেতিবাচক কমেন্ট করেন তাদের মধ্যে স্যাডিস্ট মানসিকতা আছে। অর্থাৎ তারা অন্যকে কষ্ট দিয়ে নিজেকে সন্তুষ্ট করেন। তারা মূলত ব্যক্তিজীবনে প্রচণ্ড হতাশায় থাকার কারণে অন্যের মাঝেও সেই হতাশা ছড়িয়ে দিতে চান। এটিকে আমরা সিগমুন্ড ফ্রয়েডের ভাষায় স্থানচ্যুতি বলতে পারি। অর্থাৎ যে জায়গায় রাগ বা হতাশা দেখানোর কথা, সে জায়গায় না দেখিয়ে অন্যকে দেখানো। অন্যের প্রতি বিদ্বেষ তারা পাবলিক পোস্টের কমেন্টে দেখাতে চান তারা।
এ ধরনের মন্তব্য অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করতে পারে। অনেকেই দেখা যায় হতাশায় ডুবে থাকতে নিজেদের নিয়ে। এক্ষেত্রে করণীয় হিসেবে এই ধরনের নেতিবাচক মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে কিছুই না করা। মূলত আপনাকে রাগিয়ে দিতে বা আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করতেই তারা আজেবাজে মন্তব্য করেন। আপনি যদি কমেন্টের পাল্টা জবাব দেন বা রেগে যান, এতে তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে।
ফলে একই কাজ তারা বারবার করতেই থাকবে। তাই যথাসম্ভব এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। তাছাড়া যারা আপনাকে চেনেন না, জানেন না তাদের মন্তব্যকে গুরুত্ব না দিলেই ভালো থাকবেন। তবে যদি অন্যের নেতিবাচক মন্তব্য একেবারেই অসহনীয় মনে হয়, সেক্ষেত্রে মনোবিদের সাহায্য নিতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।