বিনোদন ডেস্ক : বলিউডে কি নয়া ট্রেন্ড! চটি ফেলে চলে যাওয়া? অনেকেই মনে করছেন বিষয়টা এখন একটি প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আলিয়া ভট্ট থেকে করিনা কপুর পর্যন্ত, বলিউড অভিনেত্রীদের প্রায়শই দেখা গিয়েছে পাপারাৎজিদের চপ্পল পরার কথা মনে করিয়ে দিতে। এবার জাহ্নবী কপুরকেও দেখা গেল তাঁর চটি ছেড়ে রেখে চলে যেতে। যা নিয়ে নেটদুনিয়ায় তুমুল হাসাহাসি। যদিও পরে বিষয়টায় প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
নতুন ভাইরাল একটি ভিডিয়োয়, জাহ্নবী কপুরকে বলতে শোনা গিয়েছে ‘আরে কেউ তো চটিটা নাও।’ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা ক্লিপটিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন লিখেছেন, ‘সাংবাদিকরাও এখন বুঝেশুনেই জুতো ছেড়ে রেখে যাচ্ছে।’ দ্বিতীয়জন বললেন, ‘এখানে তো জুতো ছেড়ে রেখে যাওয়ার ট্রেন্ড চালু হয়েছে। কী হবে এসব?’ কারও মতে, ‘আচ্ছা তোমরা সবসময় এমন চম্পল নিয়ে নাটক কর কেন? তুমি কি চাও যে ওরা তোমার চম্পল হাতে তুলে নিক?’
কারও মতে, এই চপ্পল ওয়ালা নাটক বন্ধ কর, এটা অসহ্য। যাকেই দেখছি চটি নিয়ে নাটক করছে। অসহ্য লাগছে এবার। এগুলো সব ওই আলিয়ার ভিডিয়ো দেখার পর শুরু হয়েছে।’ রাস্তায় একজন পাপারাৎজিকে দেখে করিনা কপুরকে ‘আপনার বিখ্যাত চটি খুলে ফেলেছেন নাকি?’ ভিডিয়োটি সেলিব্রিটি পাপারাৎজি অ্যাকাউন্ট ইনস্টাগ্রামে ক্যাপশন-সহ শেয়ার করেছেন। ‘করিনা কপুর এই রোগ সকলের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে গিয়েছেন।’
জাহ্নবী কপুর তাঁর প্রথম সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। এবং কেন তিনি সম্পর্ক ভেঙেছিলেন তাও প্রকাশ করেছিলেন। টিন্ডার সোয়াইপের নতুন পর্বে, হোস্ট কুশা কপিলা জাহ্নবী কপুরকে তাঁর অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। প্রোমোতে, জাহ্নবী প্রকাশ করেছিলেন যে তাঁর প্রথম গুরুতর সম্পর্কের মধ্যে একটি রোমাঞ্চ ছিল। কারণ, তারা গোপনে দেখা করতেন এবং তাদের প্রেমের সম্পর্ক গোপন রাখতেন।
জাহ্নবী আরও প্রকাশ করেছেন যে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হয়েছিল। কারণ, তাঁর পিতামাতা, প্রযোজক বনি কপুর এবং অভিনেত্রী শ্রীদেবী এর বিরুদ্ধে ছিলেন। এবং তিনি তাঁর পিতামাতার কাছে সম্পর্ক নিয়ে মিথ্যে বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। জাহ্নবী বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত সেই সম্পর্কটি শেষ হয়ে গিয়েছিল। কারণ, আমাকে অনেক মিথ্যা বলতে হয়েছিল। এবং আমার মা এবং বাবার মত ছিল ‘না তোমার কখনও বয়ফ্রেন্ড থাকবে না’। তারা খুব রক্ষণশীল ছিল।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।