আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুর্গাপুজোয় মেতে শহর কলকাতাবাসী। জেলায় জেলায় উৎসবের আমেজ। উৎসবে মেতে সোনাগাছিও। দুর্বারের উদ্যোগে সেখানে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়েছে। নিয়মিত মণ্ডপে আসছেন যৌ..নকর্মীরা। প্রশ্ন উঠছিল, সেক্ষেত্রে কি পুজোয় সোনাগাছির ব্যবসা বন্ধ? আদতে বিষয়টি তা নয়। ঠিক কী জানা যাচ্ছে? কী জানানো হচ্ছে দুর্বারের তরফে?
দুই বছর ধরে কোভিডের বাড়বাড়ন্তের জন্য মাটি হয়েছিল পুজোর আনন্দ। এই বছর কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি। ছন্দে ফিরিছে তিলোত্তমা। পুজোর আনন্দে মেতেছে রাজ্যবাসী। আর সেই আনন্দের আলো গিয়ে পড়েছে যৌ..নপল্লী সোনাগাছিতেও। দুর্বারের উদ্যোগে সেখানেও আয়োজিত হয়েছে পুজো। উৎসবের আমেজে মাতোয়ারা যৌ..নকর্মীরাও। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে সেক্ষেত্রে এই দিনগুলিতে কি ব্যবসা বন্ধ সোনাগাছিতে? এই প্রসঙ্গে দুর্বারের তরফে রতন দলুই বলেন, পুজোর দিনগুলিতে ব্যাপক ব্যবসা হয় সোনাগাছিতে।
ফলে আলাদা করে ব্যাবসা বন্ধ করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। দিনের বেলা দিদিরা উৎসবে মেতে ওঠেন। বাকি সময় তাঁরা কাজ করেন। কেউ কেউ ব্যক্তিগত ভাবে কাজ করতে না চাইলে তা সম্পূর্ণভাবে তাঁদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু, পুজোর দিনগুলিতে কাজ করে আগামী দুই মাসের খরচ তুলতে পারেন যৌ..নকর্মীরা।
উল্লেখ্য, এই বছর পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে সোনাগাছিতে। অষ্ঠমীর দিন হবে ভোগরান্না। সেই ভোগ নবমীর দিন সকালে বিতরণ করা হবে সমস্ত যৌ..নকর্মীদের মধ্যে। প্রয়োজনে তা প্যাকেটে করে পৌঁছেও দেওয়া হবে। সেই ব্যবস্থাও থাকছে চলতি বছর। উল্লেখ্য, এই বছর প্রবীণ যৌ..নকর্মী শেফালি রায়ের হাত ধরে উদ্বোধন হয়েছে সোনাগাছির পুজোর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মদন মিত্র, শশী পাঁজা।
পুজো প্রসঙ্গে দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির মুখপাত্র মহাশ্বেতা মুখোপাধ্যায় বলেন, অষ্টমীর দিন ভোগ রান্না হবে। পরের দিন সেই ভোগ যৌ..নকর্মী এবং তাঁদের পরিবারের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি একাধিক সাংস্কৃতির অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকছে সেখানে। তিনি আরও বলেন, “বছরভর যৌ..নকর্মীদের সচেতন করতে প্রচার চালায় দুর্বার। সেই সচেতনতা বার্তাগুলিই এই বছর মণ্ডপে সাঁটানো হয়েছে। যৌ..নকর্মীরা যাতে পুজো দেখতে এসে সেই দিকে নজর দেন এবং বিষয়টি নিয়ে সচেতন হন সেই জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
মোটের উপর করোনার প্রকোপ কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে সোনাগাছিও। গত দুই বছর করোনার জন্য সেভাবে ব্যবসা হয়নি যৌ..নকর্মীদের। সারা বছর আর্থিক সংকটে ভুগেছেন তাঁরা। এই বছর পুজোর সময় সেই ক্ষতি অনেকটাই কমতে পারে বলে আশাবাদী সোনাগাছির যৌ..নকর্মীদের একাংশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।