জুমবাংলা ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের বলেন, “যেটা হঠাৎ করে আমাদের উপর আরোপিত হয়েছে, সেটি নিয়ে আমরা সাথে সাথেই সকল অংশীজন—গার্মেন্ট সেক্টরের ক্রেতা, বেসামরিক বিমান চলাচল ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমি নিজেই একটি জরুরি মিটিং করেছি। ইনশাআল্লাহ, আমরা এ নিয়ে কোনো সমস্যা দেখছি না।
আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে আমরা নিশ্চিত করব যে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান বা রপ্তানির যোগাযোগে কোনো ঘাটতি না হয়। এ লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করি, ইনশাআল্লাহ, আমরা এই চ্যালেঞ্জ ভালোভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হব।
বর্তমানে আমরা যে ব্যবস্থাগুলো নিচ্ছি, সেগুলো বিস্তারিত এখনই শেয়ার করছি না। তবে আমাদের প্রতিযোগিতামূলক চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতাগুলো—যা কিছু কাঠামোগত ও খরচ-সংক্রান্ত—সেগুলো সমন্বয় করে আমরা আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করব।
আমরা ভারতের কাছে কোনো আবেদন বা পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি এখনই বিবেচনা করছি না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু দাবি উঠলেও, আমার মূল লক্ষ্য হলো বাণিজ্যিক সক্ষমতা অর্জন। আমি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রতিযোগিতাসম্পন্ন বাণিজ্য নিশ্চিত করতে কাজ করছি।
বর্তমানে আমরা তিনটি পোর্ট ব্যবহার করে বাণিজ্য পরিচালনা করছি। প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৫০০০ টন মালামাল সড়কপথে ভারতের বিভিন্ন পোর্ট—বিশেষত দিল্লি, কলকাতা ও ব্যাঙ্গালোর—দিয়ে রপ্তানি হয়। আমরা আশা করি, আমাদের নিজস্ব পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে পারব।
ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে আমাদের বাণিজ্য অব্যাহত আছে। নেপালের সাথে ট্রানজিট বা রাস্তার মাধ্যমে বাণিজ্যেও কোনো সংকট দেখা যায়নি। বর্তমান সংকটটি মূলত বিমানবন্দর-সংক্রান্ত, যা সমাধানের জন্য আমরা কাজ করছি।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।