আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্যাঙ্গোলিন খুব শান্ত স্বভাবের একটি প্রাণী। কীটপতঙ্গ খেয়েই এরা বেঁচে থাকে। প্রায় ৮ কোটি ৩০ লক্ষ বছর আগে থেকে এই প্রজাতির প্রাণী পৃথিবীতে রয়েছে। যৌ*শক্তি বাড়াতে যথেচ্ছ ভাবে শিকার করা হচ্ছে প্যাঙ্গোলিন।
এমনই দাবি করেছে এনভায়রনমেন্টাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (ইআইএ)। প্যাঙ্গোলিনের শরীরের উপেরর মোটা মোটা আঁশ এবং মাংস যৌ*শক্তি বৃদ্ধির কাজে লাগে বলে দাবি করা হয়। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ওষুধ সংস্থাগুলিতে এই প্রাণীর আঁশ এবং মাংসের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সেই চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্যাঙ্গোলিনের চোরাশিকারও বাড়ছে।
ইআইএ-র আরও দাবি, যৌ*শক্তি বৃদ্ধির ওষুধ বানানোর জন্য সংস্থাগুলি লাইসেন্সও তৈরি করে রেখেছে। প্যাঙ্গোলিনের আঁশ এবং মাংস পুরুষদের ‘স্পার্ম কাউন্ট’ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বলে জানিয়েছে ইআইএ।
প্রাণী সুরক্ষা অধিকার সংস্থাগুলির দাবি, যে হারে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ এবং মাংসের জন্য শিকার করা হচ্ছে, তাতে আগামী দিনে এই প্রাণী ডোডো পাখির মতো বিলুপ্ত প্রাণীর তালিকায় ঢুকে যাবে।
প্যাঙ্গোলিন খুব শান্ত স্বভাবের একটি প্রাণী। কীটপতঙ্গ খেয়েই এরা বেঁচে থাকে। প্রায় ৮ কোটি ৩০ লক্ষ বছর আগে থেকে এই প্রজাতির প্রাণী পৃথিবীতে রয়েছে। মূলত আফ্রিকা এবং এশিয়ায় এই প্রাণী পাওয়া যায়। এদের দেহের উপরে মোটা মোটা আঁশ হামলা থেকে রক্ষা করে। এই আঁশ এত শক্ত যে, বাঘও সেগুলি দাঁতে ভাঙতে পারে না। প্যাঙ্গোলিনের মোট ৮ প্রজাতির মধ্যে ৫ প্রজাতি লুপ্ত হতে চলেছে চোরাশিকারের কারণে।
ইআইএ জানিয়েছে, প্যাঙ্গোলিনের আঁশ এবং ছালের এই গুণের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে লাখ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা অঙ্কের দাম পেতে তাই যথেচ্ছ ভাবে শিকার করা হচ্ছে প্যাঙ্গোলিন।
চিনের বাজারে এই প্রাণীর চাহিদা খুব বেশি। প্যাঙ্গোলিনের আঁশ এবং মাংস যৌ*শক্তি বর্ধক ওষুধ বানাতে আদৌ কার্যকর কি না, সে বিষয়ে পোক্ত কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যদিও দাবি করা হয়, পুরুষদের ‘স্পার্ম কাউন্ট’ বাড়াতে নাকি এই ওষুধ অব্যর্থ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।