জুমবাংলা ডেস্ক : নির্বাচনী সহিংসতায় অজ্ঞাতনামা আসামি করায় ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ভাংবাড়ি মহেশপুর ও ফুটকিবাড়ি গ্রাম পুরুষ-শূন্য হয়ে পড়েছে। বাড়িতে পুরুষ সদস্য না থাকায় আতঙ্কে সময় কাটছে গ্রাম দুটির নারীদের।
২৭ জুলাই ভিএফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা চলে আসতে গেলে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে সুরাইয়া আক্তার নামে ৯ মাস বয়সী এক শিশু নিহত হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞতনামা ৮০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। এ ঘটনার পর গ্রেপ্তার এড়াতে পুরুষ সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
পাঁচ বছর আগে নদী ভাঙনে সব হারিয়ে বগুড়া থেকে স্বামী-সন্তান নিয়ে রাণীশংকৈল উপজেলার মহেশপুর গ্রামে চলে আসেন সবুরা খাতুন। বাড়িতে পুরুষ সদস্য না থাকায় সবুরার দিন কাটছে আতঙ্কে। সবুরার অভিযোগ, এখানকার ভোটার না হয়েও আমার স্বামী-সন্তান গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বাড়িতে খাওয়ার মতো চাল-ডাল নেই।
সবুরার মতো নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে কয়েক বছর আগে হাতিবান্ধা থেকে স্বামী-সন্তান নিয়ে মহেশপুর গ্রামে বসবাস শুরু করেন সখিনা আক্তার। ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান তার স্বামী। সখিনা আক্তার বলেন, ‘মারামারি করলো ভোটে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা, আর শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে আমাদের মতো গরিবদের।’
ক্রিকেটারের অদ্ভুত প্রেমের কাহিনী সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে
সখিনা আক্তারের পাশে বসে থাকা রুবিনা বেগম বলেন, গ্রেপ্তারের ভয়ে তার-স্বামী ও সন্তানেরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। গাড়ির শব্দ শুনলেই ভয়ে বুক কেঁপে। আজ কয়েকদিন হলো আমার স্বামী বাড়িতে নেই। ছেলেদের কোনো খোঁজ নেই। ঘরে টাকা নাই, বিপদের মধ্যে দিন কাটছে। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, নির্দোষ কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।