বিনোদন ডেস্ক : উপমহাদেশের বরেণ্য অভিনেত্রী শবনম। তার ছয় দশকের বর্ণাঢ্য চলচ্চিত্র জীবন। বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় করলেও দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন পাকিস্তানের সিনেমায়। পাকিস্তানের সিনেমায় তার অবদানের জন্য সেখানে ‘মহানায়িকা’ বলা হয় শবনমকে।
অভিনয়ের গুণে দেশটির চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার নিগার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ১৩ বার। এবার পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। পাকিস্তানের ১৩৫ জনকে দেওয়া হচ্ছে নিশান ই ইমতিয়াজ, হিলাল ই পাকিস্তান, হিলাল ই সুজাত, হিলাল ই ইমতিয়াজ, হিলাল ই কায়েদ ই আজম, সিতারা ই পাকিস্তান, সিতারা ই সুজাত, সিতারা ই ইমতিয়াজ পুরস্কার। এ ছাড়াও প্রেসিডেন্ট পদকের কয়েকটি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হচ্ছে পুরস্কার।
মোট ৫০৭ জনকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। তবে সিতারা ই ইমতিয়াজ পুরস্কার পাচ্ছেন মোট ৬০ জন। তাদের মধ্যে আবার মাত্র সাতজন রয়েছেন শোবিজ অঙ্গনের। এই সাতজনের একজন শবনম।
আগামী ২৩ মার্চ দেশটির ইসলামাবাদে দেওয়া হবে এই পদক। পদক গ্রহণে বাংলাদেশ সরকারের অনুমতির প্রয়োজন ছিল। সরকারপ্রধান ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাভের পর কাল বুধবার পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন শবনম। তিনি সকাল ১০টার বিমানে ঢাকা ত্যাগ করেন।
ঢাকায় এহতেশামের হাত ধরে অভিনয়ে হাতেখড়ি শবনমের। চান্দা, তালাশ, হারানো দিন, নাচের পুতুল সিনেমা দিয়ে অবিভক্ত পাকিস্তানে তুমুল দর্শকপ্রিয়তা পান। পরবর্তী সময়ে নিজেকে আরও মেলে ধরতে পাড়ি জমান তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে। সেখানে মাথা উঁচু করে নিজেকে মেলে ধরেন। পরবর্তী সময়ে জন্মভূমিতে ফিরে সর্বশেষ ‘আম্মাজান’ সিনেমা দিয়ে ক্যারিয়ারে ইতি টানেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।