বিনোদন ডেস্ক : “পুষ্পা, পুষ্পা রাজ।” থুতনিতে হাত বোলাতে বোলাতে আল্লু অর্জুনের এই সংলাপ আসমুদ্র হিমাচলে ঝড় তুলেছে। কিন্তু তা বলে মাধ্যমিকের উত্তরপত্রের পাতায় রুপোলি পর্দার স্পর্শ? এবার মাধ্যমিকের উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করতে গিয়ে অদ্ভুত সব অভিজ্ঞতাই হচ্ছে পরীক্ষকদের। তার মধ্যে জুড়ে গিয়েছে এটিও। সাদা খাতায় কিছুই লিখে আসতে পারেনি এক পরীক্ষার্থী। কেবল লিখে দিয়েছে পুষ্পা রাজের নাম। আর জানিয়ে দিয়েছে, সে কিছুই লিখতে চায় না! যেন এটাই তার ‘সোয়্যাগ’! নেট ভুবনে দেখা মিলেছে এমনই এক উত্তরপত্রের।
জানা গেছে, ওই উত্তরপত্র শহরতলির কোনও স্কুলের পড়ুয়ার। খাতায় কিছুই লেখার মতো না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ‘পুষ্পা’ ছবির সংলাপই লিখে দিয়েছে সে। আপাত ভাবে এটি দেখে মজা লাগলেও, এর পিছনে যে করুণ সত্যি লুকিয়ে রয়েছে তা সত্যিই হতাশাজনক।
দু’ বছর পর এবছর মাধ্য়মিক পরীক্ষা নিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে তা নিয়ে গাইডলাইন দিয়েছিল বোর্ড। সূত্রের খবর, উত্তরপত্রের মূল্যায়নে গাফিলতি হলে সমস্যায় পড়তে হবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে। ইতিমধ্যেই ২৮ এপ্রিলের মধ্যে উত্তরপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, হয়তো মে মাসের মধ্যেই প্রকাশিত হয়ে যাবে ফলাফল। এই পরিস্থিতিতে চলছে জোরকদমে খাতা দেখা। আর তা দেখতে গিয়েই অদ্ভুত সব অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে পরীক্ষকদের।
অনেকেই এমন খাতা পেয়েছেন, যেখানে একটিও শব্দ লেখা নেই! কোথাও আবার প্রশ্নপত্রটাই টুকে দিয়ে এসেছে পরীক্ষার্থীরা। আসলে অতিমারীর (Pandemic) আবহে পড়াশোনার সংস্পর্শ থেকে অনেক সময়ই দূরে চলে গিয়েছে পড়ুয়ারা। স্কুল বন্ধ থাকলেও অনলাইনে পড়াশোনা চালু ছিল। কিন্তু সামনাসামনি ক্লাসের যে চেনা ছবি তা ছিল না। আর তার ফলেই পড়াশোনার পরিমণ্ডল থেকে অনেকটাই ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বহু পড়ুয়াদের সম্পর্ক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।