আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার বিরোধী দলের নেতা ও পুতিনের কট্টর সমলোচক অ্যালেক্সি নাভালনির কারাবন্দি অবস্থায় মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে চলছে নিন্দা ও ক্ষোভ। তবে নাভালনিই প্রথম ব্যক্তি নন যিনি এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর শিকার হলেন। অনেক সমালোচক যারা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছেন তারা অতীতে এমন নানা সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে মারা গেছেন।
পাভেল অন্তভ ছিলেন এ রকম একজন। তিনি ছিলেন পুতিনের ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির সদস্য। ২০২২ সালে ভারতের একটি হোটেলের জানালা থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়। ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনামূলক একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার উৎস তিনি ছিলেন- এমন দাবি অস্বীকার করার পরপরই তার রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে। একই সফরে থাকা আরেকজন ভ্লাদিমির বুদানভও তার হোটেলে মারা যান। খবর-বিবিসি
রাশিয়ার শীর্ষ তেল ব্যবসায়ীদের একজন রাভিল ম্যাগানভ। ইউক্রেনের যুদ্ধের সমালোচনা করার পর কয়েক মাস আগে মস্কোর একটি হাসপাতালের জানালা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন।
২০১৫ সালে ক্রেমলিনে দেশটির সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ও ক্যারিশম্যাটিক বিরোধী নেতা বরিস নেমতভের পিঠে চারটি গুলি করা হয়েছিল।
এমন মৃত্যুর পরিণতি থেকে বাদ যাননি সাংবাদিকও। আন্না পলিথভস্কায়া পুতিনের অধীনে রাশিয়ায় পুলিশি রাষ্ট্র সম্পর্কে একটি বই লিখেছিলেন। ২০০৬ সালে মৃত্যুদণ্ডের ধাঁচে কন্ট্রাক্ট কিলারদের হাতে তিনি খুন হয়েছিলেন।
অবশ্য পুতিন বিরোধী এমন একজন পরে ইউক্রেনে যুদ্ধ করেছিলেন। তারপর থেকে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে।
কেজিবির সাবেক এজেন্ট আলেকজান্ডার লিটভিনেনকোর ভাগ্যেও ছিল একই রকম পরিণতি। তিনিও ছিলেন পুতিনের সমালোচক। ২০০৬ সালে লন্ডনে মারা যান তিনি। এক কাপ চা পান করার তিন সপ্তাহ পরও যাতে মারাত্মক তেজস্ক্রিয় উপাদান পোলোনিয়াম-২১০ খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।
ব্রিটিশ তদন্তে দেখা গেছে, তিনি রাশিয়ান এজেন্টদের দ্বারা বিষ প্রয়োগের শিকার হয়েছিলেন যা ‘সম্ভবত’ পুতিনের আদেশে হয়েছিল। তবে রাশিয়ার সরকার এই মৃত্যুর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এতে জড়িত থাকার অভিযোগও অস্বীকার করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।