আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রায় দেড় বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে প্রতিদ্বন্দ্বী ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে এর জন্য তিনি শর্ত দিয়েছেন— পশ্চিমা দেশগুলোকে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে হবে।
মঙ্গলবার ক্রেমলিনে এক বৈঠকে পুতিন এসব কথা বলেন। খবর আলজাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকে পুতিন অভিযোগ করেন— পশ্চিমারা ইউক্রেনে রাশিয়াকে পরাজিত করতে চাইছে। দেশের জন্য মস্কোর নিজস্ব শান্তি পরিকল্পনা আছে বলেও জানান পুতিন।
পুতিন বলেন, মার্কিন হিমার্স ব্যবস্থা দিয়ে ইউক্রেন ইচ্ছাকৃতভাবে নোভা কাখোভকা বাঁধে আঘাত করেছে। তারা বাঁধটি ধ্বংস করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। রুশ ভূখণ্ড ড্রোন হামলা ও কামানের গোলাবর্ষণ হলেও মার্শাল ল জারির কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কৃষ্ণ সাগরের শস্যচুক্তি তার দেশের কোনো উপকারে আসবে না। তাই চুক্তি থেকে সরে আসার কথা ভাবছে মস্কো।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার বন্ধু দেশগুলোকে সাহায্যের জন্য এ চুক্তি করা হয়েছিল। কিন্তু ইউক্রেনের বেশিরভাগ শস্যই ইউরোপে রপ্তানি করা হচ্ছে। আর এসব অর্থ ইউক্রেনের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার মজবুত করছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ইউক্রেন বড় আকারে পাল্টা আক্রমণ শুরু করলেও তাদের আক্রমণ ব্যর্থ হচ্ছে। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর ক্ষতির পরিমাণ রাশিয়ার চেয়ে অন্তত ১০ গুণ বেশি।
পুতিন বলেন, রাশিয়ার চেয়ে ইউক্রেনের ক্ষতি ১০ গুণ বেশি। বিদেশিদের কাছ থেকে পাওয়া সামরিক যানের ২৫-৩০ শতাংশ হারিয়েছে কিয়েভ।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের লক্ষ্য পাল্টাবে না। সময়ের সঙ্গে তা খাপ খাইয়ে নেবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।