উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন সম্প্রতি চীনের বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতে বেইজিং সফর করেন। বরাবরের মতো এবারও তিনি বিমানে নয়, তার বিখ্যাত সুরক্ষিত বিশেষ ট্রেনে চড়ে বিদেশ সফরে যান।
এই সফরের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কিমের বৈঠকের পর প্রকাশিত একটি ভিডিও। টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওটিকে অনেকেই ‘ক্রাইম মুভি’র দৃশ্যের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যা কূটনৈতিক শিষ্টাচারের ধরাবাঁধা নিয়মকে ছাপিয়ে গেছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বৈঠক শেষে কিম জং উনের ব্যক্তিগত সহকারীরা সঙ্গে সঙ্গে একটি বিশেষ ‘পরিষ্কার অভিযান’ শুরু করেন। একজন কর্মচারী কিমের ব্যবহৃত চেয়ারের পেছনের অংশ এবং হাতল ঘষে ঘষে পরিষ্কার করেন। আরেকজন সাবধানে তার ব্যবহৃত পানির গ্লাসটি ট্রেতে করে নিয়ে যান।
এখানেই শেষ নয়, কিম যেসব আসবাবপত্র স্পর্শ করেছেন, সেগুলোর প্রতিটিই আলাদাভাবে মুছে ফেলা হয়। এমনকি চেয়ারের কুশনও খুঁটিয়ে পরিষ্কার করতে দেখা গেছে উত্তর কোরীয় কর্মকর্তাদের।
রুশ সাংবাদিক আলেকজান্ডার ইউনাশেভ তার চ্যানেল ‘ইউনাশেভ লাইভ’-এ জানান, আলোচনার পর উত্তর কোরীয় প্রতিনিধি দল কিমের স্পর্শ করা প্রতিটি বস্তু নিখুঁতভাবে পরিষ্কার করে। পানির গ্লাস থেকে শুরু করে চেয়ারের অংশবিশেষ—সবই বিশেষভাবে সংগ্রহ বা পরিষ্কার করা হয়।
যদিও এই ‘ফরেনসিক স্তরের ক্লিনিং’-এর পেছনে নির্দিষ্ট কোনো কারণ এখনও প্রকাশ পায়নি, তবে বিশ্লেষকদের মতে, এটি একটি সতর্কতামূলক কৌশল হতে পারে। কেউ কেউ বলছেন, রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার শক্তিশালী নজরদারির বিপরীতে আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই হয়তো এমনটা করেছে উত্তর কোরিয়া।
আবার, কিছু পর্যবেক্ষকের মতে, চীনের নজরদারি এড়ানোর কৌশল হিসেবেও এটি হতে পারে একটি বিশেষ ব্যবস্থা। বৈঠক শেষে দুই নেতা ‘খুব সন্তুষ্ট’ ছিলেন বলে জানানো হয়। সামরিক কুচকাওয়াজ এবং বৈঠক দুই-ই শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।
তথ্যসূত্র : ডেইলি মেইল ও সিএনএন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।