আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে পশ্চিমারা মস্কোর ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। এবার সেই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন পুতিনের দুই মেয়ে। যুক্তরাষ্ট্র বুধবার তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।
ক্রেমলিন বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে তারা বিভ্রান্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বৃহত্তর পশ্চিমা উন্মত্ততার অংশ হিসাবেও অভিহিত করেছে তারা।
এ ব্যাপারে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞাকে আমরা অবশ্যই একটি ক্ষিপ্ত অবস্থানের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করি।
কেন পুতিনের কন্যাদের টার্গেট করা হবে তা ক্রেমলিন বুঝতে পারছে না জানিয়ে পেসকভ বলেন, এটি এমন কিছু যা বোঝা এবং ব্যাখ্যা করা কঠিন। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের এই ধরনের প্রতিপক্ষের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নিষেধাজ্ঞায় পুতিনের দুই মেয়ে মারিয়া পুতিনা এবং ক্যাটরিনা তিকহোনোভা ছাড়াও আছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল জি সেভেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। মানে ইউরোপেও নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়লেন পুতিনের মেয়েরা।
ভ্লাদিমির পুতিন বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশের প্রেসিডেন্ট হলেও নিজের পরিবার নিয়ে সব সময় গোপনীয়তা রক্ষা করে চলেন তিনি। ফলে তার মেয়েদের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না।
মারিয়া পুতিনা হলেন ভ্লাদিমির পুতিনের বড় মেয়ে। বর্তমানে তার বয়স ৩৫।
তিনি রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োলজি বা জীববিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা করেছেন। এরপর তিনি স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিসিন নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।