চ্যাট জিপিটি সবার সম্মুখে নিয়ে আসার পর ওপেন এআই বিশ্বজুড়ে অনেক জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। চ্যাট জিপিটি এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার স্যাম ওল্টম্যানকে বরখাস্ত করার পর প্রযুক্তির দুনিয়ার সবাই বিস্মিত হয়েছিল। বহু বিতর্কের পর তিনি আবার তার পুরাতন পদে বহাল থেকেছেন।
ওপেন এআই এর সিইও স্যাম ওল্টম্যানকে কেন বরখাস্ত করা হয়েছে তার রহস্য জানতে আগ্রহী পুরো প্রযুক্তি বিশ্ব। আবার এক সপ্তাহের মাথায় কেন তাকে নিজের পদে ফিরিয়ে নিয়ে আনা হলো সেটাও এক রহস্য। প্রথমে ওপেন এআই কোম্পানির বোর্ড অফ ডিরেক্টরস কোন নোটিশ বাদেই তাকে বরখাস্ত করে দেয়।
এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল যে স্যাম ওল্টম্যান কোম্পানির কার্যক্রম নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করে না। পরবর্তী সময়ে বিস্ময়কর যে ঘটনা ঘটে তা হল microsoft এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সত্য নাদেলা স্যাম ওল্টম্যান সহ ওপেন এআই সহ যেসব কর্মকর্তা পদত্যাগ করবে সবাইকে microsoft এ কাজ করার সুযোগ দেয়ার ঘোষণা করেন।
স্যাম ওল্টম্যানকে নিয়ে তিনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দলের নতুন ইউনিট খোলার পরিকল্পনাও তুলে ধরেন। ওপেন এআই এর অনেক কর্মকর্তা পদত্যাগের হুমকি দিয়েছিল। কয়েক দফা মিটিং এরপরে স্যাম ওল্টম্যানকে তার পদে পুনরায় বহন করা হয়।
ওপেন এআই কোম্পানির একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো আর্থিক মুনাফা থেকে তারা মানবজাতির জন্য উপকারী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তির উন্মোচন ঘটাতে চায়। এখানে আরেকটি বিষয় সবার সামনে চলে আসে।
সেটা হল ওপেন এআই নতুন এক প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে যা কিউ স্টার নামে পরিচিত। এটি এমন এক প্রজেক্টর যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ধারণা সম্পূর্ণ বদলে দিতে প্রস্তুত। স্যাম ওল্টম্যান এর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে বোর্ডের কর্মকর্তাদের না জানিয়ে তিনি এ ধরনের স্পর্শকাতর প্রযুক্তির কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
কিউ স্টার প্রকল্পে আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম ব্যবহার করা হতে পারে। এটি হবে স্বাধীন ব্যবস্থা যা মানুষের সহায়তা বাদেই অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন কাজ করে ফেলতে সক্ষম হবে। এই সিস্টেমের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো তথ্য যাচাই করে সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে। কোন অনুমান নির্ভর উত্তর দেওয়া হবে না।
এজন্য আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেমকে গণিতের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ প্রজেক্ট সফল হলে মানুষের মতোই সিস্টেমটি যৌক্তিক চিন্তাভাবনা করতে সক্ষম হবে। এর ফলে নতুন বৈজ্ঞানিক গবেষণ আরো সহজ হবে।এই সিস্টেমটি নিজে নিজেই গণিত বুঝতে পারবে এবং সমাধান করতে পারবে। এ ধরনের মেশিন লার্নিং সিস্টেম যদি নিজের সকল সমস্যার সমাধান করতে পারে তাহলে পরবর্তী সময় মানবজাতির জন্য হুমকি বয়ে আনতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।