জুমবাংলা ডেস্ক : জনস্বার্থে নির্মিত ওয়াকওয়ে থেকে অবৈধভাবে পার্কিং করা মোটরসাইকেল সরানোর জন্য বলা হয়; কিন্তু তা না সরানোয় ডজনখানেক মোটরসাইকেল খালে ফেলে দেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। এতে জনসাধারণ তাকে সাধুবাদ জানান।
সোমবার দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার শংকর বংশী খালপাড়ে নির্মিত ওয়াকওয়ে থেকে এসব মোটরসাইকেল খালে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বসুরহাট বাজারে বহমান শংকর বংশী খালপাড়ে জনস্বার্থে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করেছিল বসুরহাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। প্রধান সড়কে যান চলাচলের কারণে সাধারণ মানুষ যেন স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটতে পারে এবং সকাল-বিকাল পায়ে হেঁটে ব্যায়াম করতে পারে- সেই নিরিখে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়। বসুরহাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষের বারবার নিষেধ করার পরও তা উপেক্ষা করে ওয়াকওয়ের ওপর রীতিমতো ১৫-২০টি মোটরসাইকেল রাখা নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়ে পরিণত হয়।
সোমবার সকালে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বাজার পরিদর্শনের সময় ওয়াকওয়েতে অবৈধভাবে পার্কিংয়ে রাখা ১০-১২টি মোটরসাইকেল তার নজরে পড়ে। এ সময় তিনি ওই সব মোটরসাইকেলগুলো পৌরসভার লোকজনকে দিয়ে ওয়াকওয়ের পাশে থাকা শংকর বংশী খালে ছুড়ে ফেলে দেন।
পরে অবশ্য মেয়র এবং পৌরসভার লোকজন চলে যাওয়ার পর ছুড়ে ফেলা মোটরসাইকেলগুলো মালিকরা খাল থেকে তুলে নেন।
এ ঘটনাটি সোমবার দিনব্যাপী বসুরহাট বাজারে সর্বত্র আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছিল। মেয়র আবদুল কাদের মির্জার এ উদ্যোগকে ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ সাধুবাদ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, বসুরহাট বাজারে যানজট নিরসনের জন্য জিরো পয়েন্ট ও কবুতর বাজারে পৌর কর্তৃপক্ষ মোটরসাইকেল পার্কিং করার জন্য নির্ধারিত স্থান দেওয়া থাকলেও ওয়াকওয়েতে অবৈধ পার্কিং করে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগ পেয়ে মেয়র এ পদক্ষেপ নেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।