জুমবাংলা ডেস্ক : দেড় লাখ টাকার চুক্তিতে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করেছিলেন রাজবাড়ী ডা. আবুল হোসেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক মতিয়ার রহমান হিমেল। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাজবাড়ী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন শিক্ষক হিমেল ও তার কলেজের অফিস সহকারী জাবেদ আলী।
এদিন সকালে তাদের গ্রেপ্তারের পর বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত তারা রাজবাড়ীর বিচারিক হাকিম সুমন হোসেনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
রাজবাড়ী পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ২০ মে পরীক্ষার দিনই রাজবাড়ী শহরের মুরগির ফার্ম এলাকা থেকে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তাদের মধ্যে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের প্রশিক্ষক মাঈনুল ইসলাম হাওলাদারের জবানবন্দিতে শিক্ষক হিমেলের নাম উঠে আসে।
মাঈনুল জানিয়েছিলেন, তিনি হিমেলের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকায় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সংগ্রহ করেছিলেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে হিমেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হিমেল তার কলেজের অফিস সহকারী জাবেদ আলীর নাম বলেন।
জবানবন্দিতে শিক্ষক হিমেল জানিয়েছেন, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কয়েক দিন আগে মাঈনুল তাকে দেড় লাখ টাকা চুক্তিতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রস্তাব দেন। তিনি রাজি হলে পরীক্ষার আগের দিন মাঈনুল তাকে ৫০ হাজার টাকা দেন। বাকি ১ লাখ টাকা প্রশ্ন পাওয়ার পর দেওয়ার কথা ছিল। পরে তিনি কলেজের অফিস সহকারী জাবেদের সঙ্গে প্রশ্ন ফাঁস করার পরিকল্পনা সাজান। পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট পর প্রশাসনিক ভবনের শৌচাগারে প্রশ্ন রেখে আসেন জাবেদ। তিনি সেখান থেকে প্রশ্ন নিয়ে কলেজের ফটকের সামনে অপেক্ষারত মাঈনুলের হাতে দিয়ে আসেন।
ডিবি কর্মকর্তা প্রাণবন্ধু জানান, এখন পর্যন্ত এই চক্রের পাঁচজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তাদের রাজবাড়ী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চক্রের অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।