আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কে অনুষ্ঠেয় কোরআনের গ্রীষ্মকালীন কোর্সে অংশ নেবে অন্তত ২৪ লাখ শিক্ষার্থী। এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্সি অব রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্সের শিক্ষাবিষয়ক প্রধান সাদিদা আক বুলুত।
গত রোববার (১৩ আগস্ট) আলজাজিরা মুবাশির ও তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সাদিদার সূত্রে আলজাজিরা জানায়, মসজিদে অনুষ্ঠেয় পবিত্র কোরআনের এ কোর্সটি ছয় মাস মেয়াদি হবে এবং দৈনিক অন্তত চার ঘণ্টা কোর্স কার্যক্রম চলবে।
কোরআন শিক্ষার পাশাপাশি এ কোর্সের মাধ্যমে ধর্মীয় শিষ্টাচারও শেখার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। একইসাথে ভ্রমণ, প্রতিযোগিতা ও বিনোদনমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে কোরআন হিফজের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে তুরস্ক সরকার। হাফেজের সংখ্যা বৃদ্ধি ও কোরআনচর্চা বাড়াতে বিভিন্ন কোর্সের আয়োজন করছে দেশটির ধর্মবিষয়ক বিভাগ। যেন পড়াশোনার সময় থেকেই শিক্ষার্থীরা কোরআন পড়ায় অভ্যস্ত হয়, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে এসব উদ্যোগ নেয়া হয়। তুরস্কের সব অঞ্চলে প্রতিবছর কোরআন হিফজের গ্রীষ্মকালীন কোর্স শুরু হয়। এতে শিশু থেকে তরুণ, বয়স্কসহ সব বয়সীরা তাতে অংশ নেয়ার সুযোগ পান। তাই দেশটির মসজিদগুলোতে ওই সময় কোরআন হিফজ ও তাফসির শিখতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ভিড় লেগে যায়।
মসজিদের পাশাপাশি সরকার পরিচালিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইমাম হাতিপ স্কুল রয়েছে, যেখানে নিয়মতান্ত্রিক পড়াশোনার পাশাপাশি কোরআন হিফজের বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে আর্টস, সায়েন্স ও ভোকেশনাল বিভাগে শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়তে পারেন। গত ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এ ধরনের ১৬৭৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে ছয় লাখ ৬৭ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেছে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি ও আলজাজিরা মুবাশির
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।