ধর্ম ডেস্ক : সামর্থ্যবানদের জন্যই কুরবানি ওয়াজিব। এর সঙ্গে আত্মত্যাগের মহিমা মিশে আছে। এতে রয়েছে কিয়ামত পর্যন্ত প্রতিটি মুমিনের জন্য অনন্য শিক্ষা ও প্রভু প্রেমের পাথেয়। তবে কুরবানির পশু কেনার পর যদি তা চুরি হয়ে যায়, হারিয়ে যায় বা মারা যায়, তাহলে করণীয় কী?
এ সম্পর্কে ইসলাম বলে কুরবানির পশু যদি মারা যায় বা চুরি হয়ে যায় আর কুরবানিদাতার ওপর পূর্ব থেকে কুরবানি ওয়াজিব থাকে তাহলে আরেকটি পশু কুরবানি করতে হবে। তবে যার ওপর কুরবানি ওয়াজিব নয় তার জন্য নতুন আরেকটি পশু কুরবানি করাও ওয়াজিব নয়। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৯)
তামিম ইবনে হুয়াইয়িজ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমার কুরবানির পশু জবাই করার আগেই হারিয়ে গেল। এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে আমি ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বললেন, কোনো অসুবিধা নেই।’
কুরবানি যার জন্য ওয়াজিব
স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন, প্রাপ্তবয়স্ক, মুসলিম যদি ‘নিসাব’ পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকেন, তাঁদের পক্ষ থেকে একটি কুরবানি দেয়া ওয়াজিব বা আবশ্যক। নিসাব হলো সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা এর সমমূল্যের নগদ টাকা ও ব্যবসার পণ্য বা সম্পদ।
পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর কাছে পৌঁছে না এগুলোর (কুরবানির পশু) গোশত ও রক্ত, বরং তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি সেসবকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর তাকবীর পাঠ করতে পারো, এ জন্য যে তিনি তোমাদের হেদায়াত দান করেছেন, সুতরাং তুমি সৎকর্মশীলদেরকে সুসংবাদ দাও। (সুরা হজ, আয়াত ৩৭)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।