বিনোদন ডেস্ক : সংগীতে মুগ্ধতা ছড়ানো এক নাম তাহসান খান। সংগীতশিল্পী হিসেবে তাঁর শুরুটা শূন্য দশকে। জনপ্রিয়তায় এখনও তিনি শীর্ষে। প্রশংসা কুড়িয়েছেন অভিনয়শিল্পী হিসেবেও। ভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ! ভোকাল কর্ডের অসুস্থতায় ভুগছেন তিনি। হেটেরোটোপিয়া নামক এক রোগ বাসা বেঁধেছে তাঁর কণ্ঠনালীতে।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারে তাহাসান জানালেন, কয়েক বছর আগে তাঁর ভোকাল কর্ডে একটি রোগ ধরা পড়ে। মূলত ২০১৮ সাল থেকে শুরু হয় এই সমস্যা। এরপর থেকেই আগের মতো অনায়াসে গান গাইতে পারেন না তিনি। এমনকি কখনও আগের মতো গাইতে পারবেন কিনা, তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। বর্তমানে চলছে চিকিৎসা।
ওই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানান, এখন মাঝেমাঝে গান গাইতে পারলেও যখন এই সমস্যা প্রকটভাবে বেড়ে যায় তখন আর একেবারেই গাইতে পারেন না। শ্রোতাদের উদ্দেশে তাহসান বলেন, ‘ভবিষ্যতে যদি আমার কনসার্ট কমে যায় অথবা আমার লাইভে গান গাওয়া কমে যায় তাহলে মনে করবেন আমার এই সমস্যাটার কারণেই আমি আর গাইতে পারছি না।’
জানা যায়, এই রোগে আক্রান্ত হলে গলার কাঠামো পরিবর্তন হয়ে যায়। মনোবল কমে যায় গান গাওয়ার।
পরিশেষে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তাহসান, যাতে তিনি দ্রুতই এই রোগ মোকাবিলা করে সুস্থভাবে গান গেয়ে যেতে পারেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে প্রকাশ পায় তাহসানের প্রথম একক অ্যালবাম ‘কথোপকথন’। এর ‘ঈর্ষা’, ‘চতুর্থ মাত্রা’, ‘বৃত্তাল্পনা’, ‘কথোপকথন’ গানগুলো বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। এরপর প্রকাশ পায় তাঁর আরও একটি অ্যালবাম, নাম ‘কৃতদাসের নির্বাণ’। এতে ছিল ‘প্রেমমাতাল’, ‘কাদা’ প্রভৃতি গানগুলো। এই অ্যালবাম প্রকাশের পর তাহসানকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দেশজুড়ে মুখে মুখে ফিরতে শুরু করে গানগুলো।
এর আগে তাহসান ছিলেন ‘ব্ল্যাক’ ব্যান্ডে। ২০০৫ সালে চট্টগ্রামে কনসার্ট শেষ করে ঢাকায় ফেরার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল তাঁদের মাইক্রোবাস। সদস্যরা বেঁচে ফিরলেও এরপর আর একসঙ্গে তাঁদের বাজানো হয়ে উঠেনি। তাসহানও আর থাকেননি ব্যান্ডের সঙ্গে। একক শিল্পী হিসেবে শুরু হয় তাঁর সংগীতযাত্রা। সম্প্রতি অবশ্য একটি কনসার্টে প্রায় ২০ বছর পর একসঙ্গে পারফর্ম করেছেন ব্ল্যাকের পুরনো সদস্যরা। ছিলেন তাহসান, জন কবির, টনি, জাহান ও মিরাজসহ সকলেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।