র‌্যাবের গাড়িকে যাত্রীবাহী ভেবে ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা

র‌্যাবের গাড়ি

জুমবাংলা ডেস্ক : মহাসড়কে রাতে অন্ধকারে যানজটে আটকে থাকা র‌্যাবের গাড়িকে যাত্রীবাহী গাড়ি মনে করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘেরাও করে ১০/১২ জন দুর্ধর্ষ ডাকাত। সাদা পোশাকে থাকায় র‌্যাব সদস্যদের সাধারণ যাত্রীই ভাবেন তারা।

র‌্যাবের গাড়ি

ডাকাতির উদ্দেশে গাড়ির কাছে এলে তাদের ধাওয়া করেন র‌্যাব সদস্যরা।

অবস্থা বেগতিক দেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন ডাকাতরা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। দলনেতাসহ ৮ জন ডাকাতকে হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয় র‌্যাবের চৌকশ দলটি। বাকিরা পালিয়ে যায়। এসময় ডাকাতদের সঙ্গে আনা বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র জব্দ করে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া থানাধীন চর বাউসিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় আটক ডাকাতদের কাছ থেকে একটি রামদা, তিনটি চাইনিজ কুড়াল, একটি স্টিলের তৈরি চাপাতি, একটি বড় ছোরা, একটি হাতুড়ি এবং একটি শাবল জব্দ করা হয়।

আটক ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন- মো. সুজন (২০), মো. রাসেল (২৭), মো. আলাউদ্দিন (১৯), মো. বাদশা হোসেন দিপু (২৩), মো. সাব্বির (১৯), হাবিবুর রহমান (১৯), মো. মিন্টু (২৩), মো. সিয়াম (১৯)। সুজন তাদের দলনেতা।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার বিস্তারিত জানান র‍্যাব-১১ এর সিপিসি -১ এর স্কোয়াড্রন লিডার একেএম মুনিরুল আলম।

আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্র এবং তাদের দলের সদস্য সংখ্যা ১২-১৫ জন। ডাকাত সর্দার মো. সুজন ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারের যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিতো।

গত দুই বছরে তারা এই মহাসড়কে প্রায় ৫০টির বেশি ডাকাতি করেছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আটকরা।

সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাচ্ছেন দীপিকা

র‍্যাব-১১ জানায়, গত এক বছরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩৫টি অভিযান পরিচালনা করেছে র‌্যাব। এসব অভিযানে মোট ১১৪ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেওয়া হয়েছে। এসব ডাকাতদের ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ অস্ত্রও উদ্ধার করা গেছে। মহাসড়কের ডাকাত ধরতে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।