জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবারও দেখা মিলেছে নিষিদ্ধ পপি গাছ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের (প্রথম বিজ্ঞান ভবন) বাগানে দেখা গেছে বেশ কিছু পপি গাছ।
লাল ও সাদা রঙের ফুলে শোভিত এসব গাছ বাগানের অন্যান্য গাছের আড়ালে বেড়ে উঠছিল। বিষয়টি জানার পর গাছগুলো তুলে ফেলা হয়েছে।
বাংলাদেশে পপি চাষ নিষিদ্ধ। কারণ এর ফলের রস থেকে তৈরি হয় আফিম, যা মাদকদ্রব্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ফুল বাগানের ভেতরের বাগানের মধ্যে বৃত্তাকার বেশ কিছু পপি ফুলের গাছ। বাগানের অন্য ফুল গাছের আড়ালে বেড়ে উঠছে এ গাছগুলো। বেশিরভাগ গাছেই ফুটেছে লাল ও সাদা রঙের ফুল। কিছু গাছে ফল ধরতেও দেখা যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মালি মকবুল বলেন, ‘আমরা ইচ্ছাকৃত এগুলো লাগাইনি। আগে বাগানে এগুলো লাগানো ছিল। সেখানকার বীজ থেকেই গাছগুলো হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাগানটির দায়িত্বে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও কলেজ পরিদর্শক ড. এফ নজরুল ইসলামের বলেন, ‘আমাদের জানা ছিল না যে এখানে এই ফুলটি রয়েছে। ভুলবশত এটি হয়ে গেছে। বিষয়টি জানতে পারার পরপরই আমরা গাছগুলো তুলে ফেলেছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো। কেউ ইচ্ছাকৃত এগুলো চাষ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।