বিনোদন ডেস্ক : বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা এখনও তুঙ্গে। যদিও এখন বড় পর্দায় কাজ করতে দেখা যায় না তাকে। কিন্তু দিদি নাম্বার ওয়ানে তার সঞ্চালনায় মুগ্ধ হন সকল দর্শকেরা। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি এখন ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন। শাড়ির ব্যবসা শুরু করার পরে তিনি নিজের তৈরী বিউটি ব্র্যান্ডের ব্যবসা শুরু করেছেন।
তবে অনেকেই মনে করেন অভিনেত্রী এত স্টারডম থাকা সত্বেও তিনি কিন্তু মাটির মানুষ। শুধু বাংলা ইন্ডাস্ট্রি নয়, বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অমিতাভ বচ্চনের নায়িকা হয়েছেন তিনি। একসময় ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছিলেন রচনা। তিনি আবার মিস ক্যালকাটা হয়েছিলেন। তবে অনেকেই তার আসল নাম জানেন না। রচনার আসল নাম হল ঝুমঝুম বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনেত্রী নিজেই একটি টক শোতে জানিয়েছিলেন, তার ভালো নাম ছিল ঝুমঝুম।
স্কুলের শংসাপত্র থেকে শুরু করে মিস ক্যালকাটা খেতাব সবেতেই এই ঝুমঝুম নামেই পরিচিতি ছিলেন তিনি। তবে এই ঝুমঝুম থেকে রচনা হওয়ার পেছনে রয়েছে বিরাট কারণ। রচনার বাবার বন্ধু ছিলেন অভিনেতা সুখেন দাস। তিনি রচনাকে ছবি করার জন্য অফার দিয়েছিলেন। কিন্তু সুখেন দাসের এই ঝুমঝুম নামটা ছিল একদম অপছন্দ। সেই সময় তিনি বলেছিলেন,’ঝুমঝুম নামটা চলবে না, সকলে বলবে মুনমুনের মেয়ে।’
এরপর ঠিক করা হয় রবীন্দ্র রচনাবলী থেকে অভিনেত্রীর নাম খোঁজা হবে। আর সেই রচনাবলির শব্দের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল ‘রচনা’ নাম। আর সেখান থেকেই ঝুমঝুম হয়ে গেলেন রচনা। আর তার খ্যাতি হয়ে গেল চারিদিকে। তবে এই খ্যাতি অর্জনের পিছনে যার কৃতিত্ব রয়েছে সেই সুখেন দাসকে কি মনে রেখেছেন অভিনেত্রী? তার সাফল্যের কৃতিত্ব কি কখনোই সুখেন দাসকে দিয়েছেন তিনি?
এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সুখেন দাসের মেয়ে অভিনেত্রী এবং ইম্পা প্রেসিডেন্ট পিয়া সেনগুপ্ত। সম্প্রতি বাংলার এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, “দেয়, দেয়… রচনা বাবাকে সবসময় কৃতিত্ব দেয়। বাবাকে ভীষণ সম্মান করে রচনা। আমি যদি ‘না’ বলি মিথ্যাচার করা হবে। রচনা আগেও বাবাকে সম্মান করত। এখনও বাবাকে সম্মান করে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।