বিনোদন ডেস্ক : বাংলায় ‘দিদি’ একাধিক জন হতে পারেন, তবে ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ একজনই। তিনি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বড়পর্দার নায়িকা সিনেমা বা অভিনয় থেকে সরে যাওয়া মানেই যে কেরিয়ার শেষ হয়ে যাওয়া নয় সেটাই পদে পদে প্রমাণ করছেন রচনা। দীর্ঘদিন হল অভিনয় ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু জনপ্রিয়তা কমা তো দূরের কথা, উলটে আরো বেড়ে গিয়েছে।
বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম বড় এবং জনপ্রিয় নন ফিকশন শোয়ের সঞ্চালিকা তিনি। তাও আবার এক দুটো সিজন নয়। একটানা বছরের পর বছর ধরে সঞ্চালনা করে আসছেন রচনা। অভিনয় থেকে দূরে সরে গিয়েও ইন্ডাস্ট্রির অবিচ্ছেদ্য অংশ তিনি। গোটা ইন্ডাস্ট্রির হাল হকিকত তাঁর নখ দর্পণে।
মূলত দিদি নাম্বার ওয়ানের সঞ্চালনা এবং বিজ্ঞাপন করেই উপার্জন করেন রচনা। ছেলেকে মানুষও করেন তিনি। তবে বেশ অনেকদিন হল একটি ব্যবসাও শুরু করেছেন রচনা। নিজস্ব শাড়ির ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি। শুটিংয়ের কাজ সামলে নিয়ম করে লাইভে আসেন রচনা। শাড়ির বিজ্ঞাপনের জন্য ফটোশুটও করেন।
কিন্তু এত সহজে কিন্তু সবটা করতে পারেননি রচনা। ব্যবসা শুরুর কথা ঘোষনা করতেই কটাক্ষ বাণে বিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। দিদি নাম্বার ওয়ানের সঞ্চালনা, বিজ্ঞাপনে অভিনয় করে তো কম রোজগার করেন না, আবার শাড়ির ব্যবসা কেন? তাঁদের মতো তারকারা ব্যবসা শুরু করলে ছোটখাট অনলাইন ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হবে বলেও অভিযোগ উঠেছিল।
দিদি নাম্বার ওয়ানেই তার উত্তর দেন রচনা। তিনি স্পষ্ট বলেন, কাউকে নিয়ে ভাবিত নন তিনি। কারণ কেউ তাঁকে একটা পয়সা দিয়েও সাহায্য করেনি। প্রথম যখন কাজ করতেন ৪০০ টাকা পেতেন। আজ তিনি যে জায়গায় এসেছেন সেটা সম্পূর্ণ নিজের যোগ্যতায়। রচনা বলেন, দিদি নাম্বার ওয়ান মহিলাদের সাহায্য করে। তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হন অনেকেই। তাই তিনি শাড়ির ব্যবসা শুরু করেছেন।
রচনার কথায়, ভবিষ্যতে যখন তিনি এ নিয়ে কাজ করবেন তখন যেন মহিলাদের পাশে পান। মহিলা ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করতে চান তিনি। নিজে কষ্ট করে আজ রচনা ব্যানার্জি হয়েছেন। তাই কারোর ট্রোল, সমালোচনায় তাঁর কিছুই যায় আসে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।