বিনোদন ডেস্ক : টলিউড অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জী আজ বাংলা বিনোদনের দুনিয়ার অনেক বড় নাম। রচনা ব্যানার্জী শুধু বাংলার নায়িকা নন, একসময় তিনি বাংলার বাইরে উড়িষ্যাতেও চুটিয়ে অভিনয় করেছেন সেখানকার ইন্ডাস্ট্রিতে। তারপর টলিউডে ফিরে বেশ কয়েক বছর প্রসেনজিতের সঙ্গে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেন রচনা। তারপর টলিউড থেকে বেরিয়ে আজ বাংলার সব থেকে বড় রিয়ালিটি শো ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ এর সঞ্চালিকা হয়ে উঠেছেন তিনি।
ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কয়েকটা দশক কাটিয়ে ফেললেন রচনা। রচনা ব্যানার্জী এখন আর শুধুই একজন নায়িকা নন, ইন্ডাস্ট্রিতে ও দর্শকদের কাছে তিনি যেন নিজেই একটা ব্র্যান্ড। অভিনয়, সঞ্চালনার পাশাপাশি ব্যবসাতেও খাতা খুলে ফেলেছেন রচনা। জীবনের সর্বক্ষেত্রেই তিনি সফল। তবে জানেন কী অভিনয় জীবনের শুরুতে তাকে ঠিক কতটা স্ট্রাগল করতে হয়েছিল?
রচনা বরাবর সাফল্যের জন্য পরিশ্রমকেই অধিক গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। তিনি কখনও পরিশ্রমের সঙ্গে আপোষ করেননি। তাই তো আজকে তিনি দিদি নাম্বার ওয়ান। বাংলা জোড়া খ্যাতি তার। কিন্তু যে নামে তাকে অধিকাংশ বাঙালি চেনেন সেটা তার আসল নামই নয়। রচনা ব্যানার্জীর আসল নাম কী জানেন? কেনই বা তাকে নিজের নাম বদলে ফেলতে হয়েছিল? সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর রইল এই প্রতিবেদনে।
রচনা ব্যানার্জী, নামটা তিনি পেয়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পর। সেই সময় তাকে এই নামটা দিয়েছিলেন টলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা তথা পরিচালক সুখেন দাশ। তার আগে স্কুলের শংসাপত্র থেকে মিস ক্যালকাটা খেতাব, সবই রচনা জিতেছিলেন ঝুমঝুম ব্যানার্জীর নামে। হ্যাঁ, ঝুমঝুম নামটাই রচনার আসল নাম। এই নামেই তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন। কিন্তু সেই সময় তার নামটা মোটেই পছন্দ হয়নি সুখেন দাশের। তিনি তখন রবীন্দ্র রচনাবলী থেকে টলিউডের উঠতি নায়িকার নতুন নাম রাখেন। ঝুমঝুম হয়ে ওঠেন রচনা।
সুখেন দাশ মনে করেছিলেন ‘রবীন্দ্র রচনাবলী’ শব্দবন্ধের মধ্যেই টলিউডের নতুন নায়িকার নামটা লুকিয়ে রয়েছে। ঝুমঝুমকে তাই এই নামটাই দিয়েছিলেন তিনি। সেই নাম পরে এত বিখ্যাত হয়েছিল যা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নিজের নাম ছেড়ে রচনা ক্রমে ইন্ডাস্ট্রি থেকে পাওয়া নামটাকেইই আপন করে নিলেন। অন্যদিকে দর্শকরাও তাকে আপন করে নিতে দেরি করেননি। একের পর এক সুপারহিট সিনেমাতে অভিনয় করে দর্শকদের থেকে প্রচুর ভালবাসা পেয়েছিলেন তিনি। এখন তিনি আর ছবি করেন না বটে কিন্তু দর্শকদের ভালবাসা এতটুকু কমেনি।
অতীতে তিনি নিজের স্ট্রাগল লাইফ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, অভিনয় জগতে তার এই যাত্রাপথে তিনি শুধু নিজের বাবাকে পাশে পেয়েছিলেন। ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিতে মেয়েকে সফল করে তোলার জন্য রচনার বাবা তার চাকরিটিও ছেড়ে দেন। রচনার এই সফলতার পেছনে যতটা তার অবদান রয়েছে, তার থেকেও বেশি অবদান রাখার স্বীকৃতি তিনি দেন বাবাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।